জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,দুর্গাপুরঃ- পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত জাগো নারী’ মানেই গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে নতুন ভাবনা, মানুষের মধ্যে প্রেরণা সৃষ্টি করার মত কিছু করে দেখানোর তাগিদ। লক্ষ্য প্রিয় দুর্গাপুর শহরকে দূষণ মুক্ত করে সবুজে ভরিয়ে দেওয়া। লক্ষ্য পূরণের জন্য সংস্থার কর্মকর্তারা বেছে নেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪ তম জন্মদিনটিকে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে তারা এই দিনটি পালন করে।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও পথচলতি মানুষ মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁর প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন করেন। এরপর বিভিন্ন বক্তা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গান্ধীজীর ভূমিকা নিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ মননশীল আলোচনা করেন। শহরের ব্যস্ত চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে চৌধুরী দম্পতি বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে চলেছেন তার জন্য তারা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এরপর পালিত হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। গত কয়েকদিন ধরেই কখনো একটানা কখনো বা ক্ষণে ক্ষণে চলছে বৃষ্টিপাত। প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সংস্থার উদ্যোগে এবং দুর্গাপুর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস, ডিএমসি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত আড়রা মোড় থেকে শুরু করে আড়রা হোস্টেল মোড়, বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রোড-ডিভাইডারের ভিতর প্রায় ৬০টি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার প্রশাসক রাখি তেওয়ারি, দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ ব্যানার্জী, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচাৰ্য, সংস্থার সভাপতি ড. উদয়ন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ড. কবিতা চৌধুরী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও পথচলতি মানুষ।
ড. কবিতা চৌধুরী বললেন – আমাদের সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। সংস্থার সদস্যদের আন্তরিকতা খুবই প্রশংসনীয়। দুর্গাপুর শহরকে দূষণমুক্ত করার জন্য আমরা বাপুজীর জন্মদিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করি। তিনি অন্যান্য সংস্থাগুলিকে নিজ নিজ এলাকায় বৃক্ষরোপণের জন্য এবং সেই বৃক্ষগুলির যত্ন নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের আহ্বান জানান।