নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হয় বিশ্ব হাসি দিবস। আজ সেই বিশ্ব হাসি দিবস। বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো থাকার রসদ লুকিয়ে রয়েছে এই হাসির মধ্যেই। হাসি শরীর ভালো রাখে, নানা মানসিক চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। হাসলে মন মেজাজ ভালো হয়ে যায়। শরীর মন সুস্থ রাখতে হাসির জুরি মেলা ভার। তাই এই বিশ্ব হাসি দিবস নিঃসন্দেহে বিশেষ একটা দিন। কিন্তু কেন এই বিশেষ দিনটি বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয়। ১৯৬৩ সালে হার্ভি বল ব্যবসায়ীক কারণে স্মাইলি বা হাসি-র চিহ্নটি তৈরি করেন। এরপর থেকেই ভালো ও মজার কিছু বোঝাতে বা উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই চিহ্নটি জনপ্রিয় হয় । ১৯৯৯ সালে সেই চিহ্নকে সামনে রেখে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে বা বিশ্ব হাসি দিবস। এবং ২০০১ সালে হার্ভি মারা গেলে পরে ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ও স্মরণ করতে প্রত্যেক বছর দিনটি পালন করা হয়। তবে, অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, ড. মদন কাটারিয়ার ১৯৯৮ সালে প্রথম চালু করেন বিশ্ব হাসি দিবস।
সারা বিশ্বের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও পালিত হল দিনটি। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ মাঠে এদিন হাসি দিবস পালন করতে হাজির হয়েছিলেন যুবক যুবতী থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা নানান বয়সের মানুষ। এবং সকলে একসঙ্গে হাসিতে মতে ওঠেন এই ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মহিলা পুরুষেরা। সাদা পোশাক পরিহিতা এই একদল মানুষের হাসির উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। রীতিমতো উদ্দিপনা দেখা যায় স্থানীয়দের মধ্যেও। বলতে গেলে চরম উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্যেই পালিত হয় বিশ্ব হাসি দিবস।