সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় রানীগঞ্জের এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সাজা ঘোষণা করল আসানসোল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ( সেকেন্ড কোর্টের) বিচারক মহুয়া রায় বসু। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারকের নির্দেশ অনুসারে জরিমানার টাকা নির্যাতিতাকে দিতে হবে।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায়, জানান ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল। সেদিন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গেছিলেন রানীগঞ্জ থানার কেজি লেনের ডালপট্টির বাসিন্দা ষাটোর্ধ ওই বৃদ্ধা। সেই সময় তার পিছু নেয় এলাকারই বাসিন্দা রাহুল রাম এবং এলাকার একটি পুকুরঘাটে বৃদ্ধার শ্লীলতাহানি করে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। বৃদ্ধা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে গেলে চম্পট দেয় ওই যুবক। সেই দিনই ঘটনার কথা জানিয়ে রানিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বৃদ্ধার পরিবারের তরফে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৩৫৪/এ, ৩৭৬ ও ৫১১ নম্বর ধারায় মামলা করে।
চিকিৎসক সহ মোট ৮ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দান করেন। এই মামলার আইও বা তদন্তকারী অফিসার ছিলেন শেখ রেজাউল করিম। মেডিকেল রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য সহ পুলিশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ায় ধৃত যুবক জামিন পায়নি। ২ বছরেরও কম সময়ে (২১ মাস) আসানসোল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ( সেকেন্ড) কোর্টের বিচারক মহুয়া রায় বসু সওয়াল-জবাব ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে শুক্রবার অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেন।