নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- গত মাসে হাওড়ায় উলুবেরিয়ায় পুলকার দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন পড়ুয়ার। যা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। টনক নড়ে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের। এপরই পুলকার নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়। আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এবার থেকে ব্যক্তিগত কোন গাড়িকে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। নতুন কমিটি গঠন করে পুলকার পরিষেবার উপর অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হবে। ৩১ শে জানুয়ারির পর থেকে এই নিয়ম লাগু হবে। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অভিভাবক ও পুলকার কর্তৃপক্ষদের নিয়ে বৈঠকে জানালেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক পিভিজি সতীশ পশুমার্থী।
এদিন তিনি জানান, দুর্ঘটনা রুখতে “স্কুল রোড সেফটি” কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক, ট্রাফিকের একজন করে আধিকারিক ও পুলকার কর্তৃপক্ষ থাকবে। কেউ নিয়ম ভাঙলে এই কমিটি ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবে। তারপরেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এবার থেকে আইন ভাঙলে তা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি। এদিনের বৈঠকে ডিসি ট্রাফিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপি ট্রাফিক (৩) রাজকুমার মালাকার, মুচিপাড়া ট্রাফিক, দুর্গাপুর ট্রাফিক ও দুর্গাপুর সাব ট্রাফিকের আধিকারিকরা। আগামী দিনে এই বিষয়টি নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার প্রতিটি স্কুলে স্কুলে বৈঠক করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে বহু স্কুল। প্রতিদিন হাজার হাজার পুলকারের মাধ্যমে পড়ুয়ারা স্কুলে যাতায়াত করে। আর এই পুলকার পরিষেবা নিয়ে রয়েছে হাজারো অভিযোগ। কোথায় ঘেঁষাঘেঁষি করে অতিরিক্ত পড়ুয়া নেওয়ার অভিযোগ তো কোথায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ। দুর্ঘটনা ঘটে মাঝে মধ্যে। যখন ঘটনা ঘটে তখন পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায় আবার কিছুদিন পর থেমেও যায় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে নতুন কমিটি গঠনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিল্পাঞ্চল তথা জেলার অভিভাবকরা। তাদের আশা এতে বেপরোয়া পুলকার পরিষেবায় কিছুটা হলেও লাগাম টানা যাবে। যা পুলকারে যাতায়াতকারী পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য় করবে।

















