নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- পানাগড়ের ব্যবসায়ী অপহরণকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বুদবুদ থানার পুলিশ। ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন ইসিএল কর্মী দু’জন বি.টেক ও এম.টেক পাশ ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও নগদ এক লক্ষ বারো হাজার টাকা সহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত চারচাকা গাড়িটিও।
জানা গেছে চলতি মাসের ১০ তারিখ কাঁকসার বিরুডিহার বাসিন্দা পানাগড়ের পাথর ব্যবসায়ী জয়ন্ত গড়াইকে অপহরণ করে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী। তাঁকে বুদবুদ থানার সোয়াই মোড়ের কাছে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয় এবং পরিবারের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করা হয়। পরে অবশ্য ৬ লক্ষ পেয়ে মারধর করে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
গত ১৩ তারিখ পুরো বিষয়টি জানিয়ে বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পানাগড়ের ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বুদবুদ থানার পুলিশ এবং সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তে বড়সড় সাফল্য পায়। একে একে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। ধৃতরা হল অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চ্যাটার্জি এবং বিমলেশ কুমার ঠাকুর। সকলেই দুর্গাপুর নগর নিগম ও কাঁকসা এলাকা বাসিন্দা।
বুদবুদ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার কথা জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর ডিসি অভিষেক গুপ্তা। সঙ্গে ছিলেন থানার ওসি মনোজিৎ ধারা, কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল সহ পুলিশ আধিকারিকরা। ডিসি অভিষেক গুপ্তা বলেন, “নেশার টাকা আদায় করতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হবে।”