নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- যাদবপুর কাণ্ডের রেষ এসে পড়ল দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইস্পাতনগরীর হর্ষবর্ধন রোডে সিপিএমের সেক্টর অফিসে ভাঙচুর ও দলের প্রবীন নেতা কর্মীদের মারধর করে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ শনিবার রাতে এই দলীয় কার্যালয়ে কয়েকজন প্রবীন বাম নেতা কর্মী বসেছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লব রঞ্জন নাগের নেতৃত্বে কয়েক জন হামলা চালায়। বাম নেতা কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় চেয়ার টেবিল। এমনকি এরপর এই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পল্লব নাগ পাল্টা অভিযোগ করেছেন প্রবীণ ওই বাম নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। তার দাবি “দীর্ঘদিন ধরে সমাজ সেবার নামে ওই মানুষগুলো তাস খেলা ও জুয়ার আসর বসিয়েছিল। এলাকার মানুষ তার প্রতিবাদ করে। আমরা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওই প্রতিবাদকে সমর্থন করেছি।”
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ১নম্বর ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষ ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “এই ধরণের ঘটনা সমর্থন যোগ্য নয়। কারো আলাদা মতাদর্শ থাকতেই পারে। আমার কাছে যদি কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায় তাহলে উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়ে দলের তরফে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফের সদস্যেরা। এরপর দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। এমনকি তার পাইলট কারে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে মন্ত্রীর গাড়ি এক ছাত্রকে চাপা দিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়ান বিক্ষোভকারীরা। পুরো ঘটনায় আহত হন কয়েকজন পড়ুয়া।





