সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- বোলপুরের আইসিকে হুমকির ঘটনাকাণ্ডে সাত দিন পর, গতকালই এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে দু’বার বোলপুর পুলিশের তলব পেয়েও হাজিরা দেননি অনুব্রত। অসুস্থতা, বিশ্রামের অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এই হুমকি ঘটনায় রাজ্যজুড়ে কম তোলপার হয়নি। অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করছে না পুলিশ? শাসক দলের দাপুটে নেতা বলেই কি ছাড়? এরকম নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল বিভিন্ন মহলে। এবার রাজ্য সরকারের ভাতাপ্রাপ্ত এক বহুরূপীর মুখেও শোনা গেল সেই প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, এই প্রশ্ন বহুরূপী সরাসরি করছেন এক পুলিশের কর্মীকে। দুর্গাপুরের এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। যা নিয়ে চর্চায় শহরবাসী।
জানা যাচ্ছে ওই ভিডিওটি দুর্গাপুরের মুচিপাড়া বাজার এলাকার। এক পুলিশ কর্মীকে লটারির দোকানে দেখতে পেয়ে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন ওই বহুরূপী। সাহায্য দিলেও তার সঙ্গে একটি মন্তব্যও জুড়ে দেন ওই পুলিশকর্মী, ” এভাবে ভেক ধরে ভিক্ষা না করে কিছু কাজ করে খাও।” তবে এহেন মন্তব্য করে পার পাননি ওই পুলিশ কর্মী, বরং উল্টে ওই বহুরূপীর রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। বহুরূপী বলতে থাকেন, “অনুব্রতকে জেলে ভরো। অনুব্রত বলে পার পেয়ে যাবে? অনুব্রত মণ্ডল চুরি করবেন, সেটা মারবেন অথচ আমি ভিক্ষা করছি সেটা দিতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গে এটাই জানলাম যার শক্তি তার ভক্তি। এই প্রশাসনের কি অবস্থা দেখুন। গুরু ভক্তি! অনুব্রতকে জেলে ভরতে পারে না, পুলিশ থ্রেট দিচ্ছে আমাদের।”
পুলিশকে করা কুকথা নিয়ে পরে প্রশ্ন করা হলে তাঁকে বলতে শোনা যায় “শোন ভাইটি পুলিশকে কুকথা বলি নাই। অনুব্রতই তো বলেছে কুকথা। আজকে অনুব্রতকে জেলে ভরে দেখাতে পারবে পুলিশ? আইন আইনের পথে চলবে। আমরা গালাগাল দিলে ছাড় পাব?”
তবে ওই বৈরাগী নিজের নাম পরিচয় (দেবদাস দাস বৈরাগ্য,জয়দেব, বীরভূম) জানাতে গিয়ে নিজের সরকারি পরিচয় পত্র দেখিয়ে জানাতে ভোলেননি যে তিনি সরকারি লোকশিল্পী ভাতা পান।
এই ভিটিওটি নিয়ে নানা জনে নানা মত প্রকাশ করছেন। কেউ বলছেন এতো রাম রুপি বহুরূপী! কেউ বলছেন সরকারি ভাতা নিয়ে প্রশাসনকে তুলোধুনা করতে ছাড়ছে না। কেউ আবার বলছেন সাহস আছে, সরাসরি পুলিশকে প্রশ্ন করছে। কারও আবার মত ভাতা পায় বলে কি সত্যি কথাটা বলবে না?
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডলের কুকথার পর এবার শহর দুর্গাপুরে পুলশকে উদ্দেশ্য করে এক বহুরূপীর কুকথা (প্রশ্ন করা) নিয়ে শুরু হয়েছে তর্ক বিতর্কের ঝড়।





