eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে বিশেষভাবে সক্ষমদের ভাতৃদ্বিতীয়া পালন

দুর্গাপুরে বিশেষভাবে সক্ষমদের ভাতৃদ্বিতীয়া পালন

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আজ ভাতৃদ্বিতীয়া। ভাই ও দাদারে কপালে ফোঁটা দিয়ে তাদের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করছে বোনেরা, দিদিরা। আর এই পরব উপলক্ষ্যে বাঙালির ঘরে ঘরে আজ উৎসবের আমেজ। আর উৎসব মানেই তো জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। তাই চলছে ভুরিভোজের পালাও। সঙ্গে উপহার আদান প্রদান।

এই উৎসবের দিনে বাড়ি থেকে অনেক দূরে ওরা। ওরা মানে দুর্গাপুরের ‘হ্যাপি হোমে’র ছোটরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চাহিদা সম্পন্ন বাসিন্দা কিশোর কিশোরীদের এখন এই ‘হ্যাপি হোম’ই ঘর বাড়ি। আর হোম কর্তৃপক্ষই ওদের পরিবার। তাই উৎসবের দিনে হ্যামি হোমের আবাসিকরা যাতে কোনোভাবেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য বছর ভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন হোম কর্তৃপক্ষ। সেই মতো আজ আর পাঁচটা বাঙালি বাড়ির মতোই রবিবার হোমে আয়োজন করা হয় ভাই ফোঁটার। যেখানে রীতি মেনে ধান দুব্বো চন্দনের থালা সাজিয়ে ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা…. মন্ত্র আউড়ে হোমের ভাই, দাদারে ফোঁটা দেয় হোমের বোন ও দিদিরা। আর সঙ্গে ছিল জমাটি খাওয়ার আয়োজন। আবাসিকদের সামনে সুন্দর করে খাবার থালা সাজিয়ে দেওয়া হয়। মেনুতে ছিল লুচি, আলুর দম, মিষ্টি, পায়েস। সব মিলিয়ে এদিন ভাতৃ দ্বিতীয়া অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মেতে ওঠে ‘হ্যামি হোমে’র আবাসিকরা।

প্রসঙ্গত ২০০১ সালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও কিশোর কিশোরীদের নিয়ে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর হর্ষবর্ধন রোডে গড়ে ওঠে বেসরকারি আবাসিক হোম ‘ দুর্গাপুর হ্যান্ডিক্যাপড হ্যাপি হোম ‘। যেখানে আবাসিকদের পড়াশুনার পাশাপাশি গান বাজনা সহ নানা হাতের কাজ শেখানো হয়। ওরা সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে নিজেরাই জীবনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করেন হ্যাপি হোমের সভাপতি শিশির চ্যাটার্জী ও সম্পাদিকা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments