নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– পশ্চিম বর্ধমান জেলা তথা শিল্পাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মন্দির দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী শ্মশান কালী মন্দির। এই মন্দির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বহু পুরনো। সিপাহী বিদ্রোহের পাঁচ বছর আগে ১৮৫২ সালে সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে মার্গশীর্ষ অমাবস্যায় ভিড়িঙ্গী কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন অক্ষয় কুমার রায়। এর আগে মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে মন্দির সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বসে দীর্ঘ দিন সাধনা করেছিলেন তিনি।
বাৎসরিক পুজো উপলক্ষ্যে প্রতিবারই সারা রাত্রি ব্যাপি মহোৎসবের আয়োজন করা হয় ভিড়িঙ্গী শ্মশান কালী মন্দির। মায়ের এই বিশেষ পুজোর দিনে পুজো দিতে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার ছিল ১৭৩বছরের বাৎসরিক পুজো।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় বা মার্গশীর্ষ অমাবস্যায় ভিড়িঙ্গী কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসে পুরাতন মা কালীর মৃন্ময়ী মূর্তির বিসর্জন হয় মন্দিরের পাশের কুমোর বাঁধে। আর নতুন মৃন্ময়ী মায়ের মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে সারা রাত ধরে চলে হোম যজ্ঞ পুজো অর্চনা। পুজোর পর ভোর রাতে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রবিবার সকালে মায়ের ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করতে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে যায়।
প্রতিবারের মতো এবারও ভিরিঙ্গি শ্মশান কালী মন্দিরের বাৎসরিক পুজোকে কেন্দ্র করে আন্দনে মেতে উঠেছিল পুরো এলাকা। বসেছিল প্রতিবারের মতো মেলা।