নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর শিল্পতালুকে দূষণের অভিযোগ নতুন নয়। বারংবার শহরের কলকারখানাগুলির বিরুদ্ধে বাতাষে বিষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে সম্প্রতি ডিভিসির অধীনস্থ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের দূষণ নিয়ে সরব হয় দুর্গাপুরের গোপালমাঠে ভূমিরক্ষা কমিটি। থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের ছাই পুকুর অ্যাশ পন্ড থেকে ছড়িয়ে পড়া ছাই থেকে দূষণের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন কমিটির সদস্যরা। অবশেষে সেই আন্দোলনের জেরে পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনকে ২০ লাক্ষ টাকা জরিমানা করার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল পর্যদ।
অভিযোগ ছিল ছাই পুকুর থেকে উড়ে আসা ছাইয়ের জেরে গোপালমাঠারে গ্রামের বাসিন্দাদের জীবীন যাপন দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। ঘরদোর কালো ছাইয়ে ঢেকে যাচ্ছিল, নানারকম চর্মরোগ ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগে ভুগছিলেন বাসিন্দারা, বিশেষত ছোট ও বৃদ্ধরা। অবশেষে দূষণের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে ভূমিরক্ষা কমিটি। যার জেরে গত ২৬ মে ডিভিসির থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞাপ্তি জারি করে জরিমানা সহ আরও কয়েকটি নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। যেমন ছাই পুকুরে জল রাখতে হবে, পুকুরের চারিদিকে অবিলম্বে গাছ লাগাতে হবে, প্রতিদিন কত পরিমাণ ছাই পরিহণ হচ্ছে তা তথ্য দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে ইত্যাদি।
এদিন ভূমিরক্ষা কমিটির সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জী বলেন, “অবশেষে আমাদের দীর্ঘ লড়াইকে স্বীকৃতি দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । পর্ষদ যে নিয়ম আরোপিত করেছে তার জেরে এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও প্রকৃতি সুরক্ষিত হবে বলে আশা করা যায়।”





