নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দলীয় নেতার শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসার অভিযোগ। এদিন কাঁকসার সরস্বতীগঞ্জে বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষের শহীদ দিবসে দলে ভাগাভাগি হয়ে মাল্যদান কর্মসূচি করেন নেতা কর্মীর। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কাঁকসার সরস্বতীগঞ্জে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রূপগঞ্জের বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহযোগিতায় ও সন্দীপ ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে মৃত্যুর ছ’বছর পর ২০২৪ সালে রূপগঞ্জ মোড়ে সন্দীপ ঘোষের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়।
সেই খুনের বিচার হয়নি, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবছরই সন্দীপ ঘোষের শহীদ দিবসে সরব হয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এই মৃত্যু দিবস ঘিরে এবার দেখা গেল বিজেপির এইপক্ষ ওইপক্ষের রাজনীতি। এদিন সাত সকালে শহীদ নেতার মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপির কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভগিরথ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা। আর বেলা গড়াতেই ওই একই মূর্তিতে মাল্যদান করেন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা, সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপির নেতৃত্বরা।
এক পক্ষ সকালে মাল্যদান করছে আর এক পক্ষ দুপুরে আরো কোন পক্ষ সন্ধ্যায় মাল্যদান করবে বলে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
যদিও কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভগিরথ ঘোষ বলেন,”যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেই দিন আমিও সন্দীপের সাথে ছিলাম। এদিন সকালে দেখি মূর্তির জাগয়া অপরিস্কার হয়ে রয়েছে, তাই দলীয় কর্মীরা সকলে মিলে সাফ সাফাই করে শহীদ নেতার মূর্তিতে মাল্য়দান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। এর পেছনে অন্য কোন কারণ নেই।” অন্যদিকে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য যারা খুন করেছে শেখ সইফুল, শেখ হিরন মন্ডল, জহিরুল মিদ্যা ওরফে কাংলা তাদের কীভাবে জেলে ঢোকানো যাবে।”
এদিকে বিজেপি দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”একজন কর্মীর শহীদ দিবস পালন হচ্ছে দুই ভাগে ভাগ করে। এরই নাম বিজেপি। সকালে একবার পালন হচ্ছে দুপুরে একবার পালন হচ্ছে আবার রাতেও হয়তো পালন হবে।”



















