নিজস্ব সংবাদদাতা ,দুর্গাপুর:- বন্ধ কলকারখানা থেকে লোহার যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা নতুন নয় দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। বহুদিন ধরেই এই অভিযোগ উঠছে। এমনকি এই লোহা চুরির অভিযোগে গত নভেম্বর মাসে দুর্গাপুরের দুই তৃণমূল নেতা গ্রেফতারও হন। এবার লোহা চোর ধরতে দলবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। লোহা চুরির খবর পেয়ে সোমবার রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত জেশপ কারখানার ভেতর দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি।
জানা গেছে সোমবার সন্ধ্যায় রঞ্জিত নামে বিজেপির এক কর্মী সিটি সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে লক্ষ্য করেন দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভগত পল্লী সংলগ্ন জেশপ গেটের একটা অংশে কাটার মেশিন লাগিয়ে লোহা কাটা হচ্ছে। অভিযোগ প্রতিবাদ করলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই তিনি বিষয়টি বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। এদিকে কারখানা থেকে লোহা চুরির খবর পেয়ে কর্মীদের নিয়ে ওই বন্ধ কারখানায় হাজির হন চন্দ্রশেখরবাবু এবং খোঁজ চালান লোহা চোরদের। যদিও সেই সময় কোন চোরের দেখা মেলেনি। তবে দেখা যায় চুরির লোহা পাচারের জন্য, কারখানার ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে রয়েছে রাস্তা, ভেঙে ফেলা হয়েছে কারখানার পাঁচিলও।
চন্দ্রশেখরবাবু এদিন দাবি করেন, শুধু জেশপ কারখানা নয়, মা চন্ডি থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েকটি বেসরকারি-সরকারি বন্ধ কারখানায় চুরি চলছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে কারখানার লোহার যন্ত্রণাশ। পুলিশকে বারবার বলেও কাজের কাজ না হওয়াতে বাধ্য হয়ে এই সম্পত্তি বাঁচাতে তিনি রাতে নেমেছেন লোহা চোরদের ধরতে।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকার রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুক, লেনিন সরণি শিল্পতালুক, আরআইপি শিল্পতালুকে বেশ কিছু বেসরকারি কারখানা বন্ধ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে লোহার যন্ত্রাংশ কেটে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ বহু পুরনো। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি চক্র এর পিছনে রয়েছে। কিন্তু বার বার থানায় জানিয়েও লাভ হয়নি।





