নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালোন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দপ্তরের উদ্যোগে গ্রামোদ্যোগ বিকাশ যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ। সোমবার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুই। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত, বিজেপি নেতা সুমন্ত মন্ডল সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। এই অনুষ্ঠানেই রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপি বিধায়ক।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট্ট ও মাঝারি দপ্তরের উদ্যোগে আমরা বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। কারণ বাংলার সরকার যেভাবে ভিক্ষা এবং ভাতা দিয়ে রেখেছে, কখন ব্যাংকে টাকা আসবে কিভাবে সংসার চলবে, সেই ভেবেই মানুষ অসহায় বোধ করছে। কিন্তু আমাদের একটাই লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করা। ফলে আর্থিক বিকাশ ঘটবে পিছিয়ে পড়া এলাকায় । একইভাবে সেলাই মেশিন দিয়েও আমরা মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু রাজ্য সরকার পুরো ব্যর্থ। কারণ তারা চায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার , ভাতা, ভিক্ষা দিতে। কারণ তারা শুধু ভোট চায়। ভোটের জন্য তারা ভিক্ষা দেয়। আর ভিক্ষা নেওয়ার জন্য মানুষ বসে থাকে। আমরা ভিক্ষা নয় ভাতা নয় আত্মনির্ভরতা গড়ে তুলতে চাই। সেই জন্যই বিনা পয়সায় সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। সারা দুর্গাপুর জুড়ে গরিব ছেলে, মেয়েদের নিয়ে সেলাই মেশিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া দেওয়া হবে। তারপর বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে। আর তারা স্বনির্ভর ভাবে এগিয়ে যাবে।”
আর বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই রাজ্যের দিকে না তাকিয়ে অন্য রাজ্যে বিজেপি কি করছে দেখুন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে উন্নয়ন করছে, তা তাকিয়ে দেখতে হবে আপনাদের। আপনার ঘরের বউরাও লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিজেপির এ কথা বলা মানায় না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এ রাজ্যের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সাফল্য দেখে ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত দিল্লি সরকার একই রকম প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারই মধ্যে দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়কের লক্ষ্মী ভাণ্ডার নিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।





