eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে পুরনো ডিয়ার পার্কের জায়গায় নতুন শিশু পার্ক তৈরির উদ্যোগ এডিডিএ-এর

দুর্গাপুরে পুরনো ডিয়ার পার্কের জায়গায় নতুন শিশু পার্ক তৈরির উদ্যোগ এডিডিএ-এর

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরের একসময় জনপ্রিয় ডিয়ার পার্কটিকে নতুনরূপে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিল আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় ওই পার্কটিকে শিশুউদ্যানে পরিণত করার পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ছমাসের মধ্যে শিশুউদ্যানটি নতুন রূপে তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে এডিডিএ। শনিবার এই শিশুউদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আনুষ্ঠানিকভাবে নারকেল ভেঙে এবং একটি ফলক উন্মোচন করে পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুর পৌর নিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপারসন অনিন্দিতা মুখার্জি, এসবিএসটিসি-এর চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায়, এসিপি কাঙ্ক্ষা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলীরা।

এডিডিএ সূত্রে জানা গেছে নতুন এই শিশু উদ্যান বা পার্কে থাকবে ছোটদের জন্য নানারকম রাইডস, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও হরিণ। এছাড়া বয়স্কদের জন্য বসার এবং হাঁটার ব্যবস্থাও থাকবে।

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এদিন বলেন,”ডিয়ার পার্কটি পুনরায় চালু করার জন্য বারবার দাবি জানানো হয়েছে। এখন, আমরা এর জায়গায় একটি নতুন শিশু পার্ক তৈরি করছি, যেখানে শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সাথে আনন্দের সাথে সময় কাটাতে পারবে।” এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, “এটি দুর্গাপুরের উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ। পার্কে শিশুদের খেলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে।”

বেসরকারি কোম্পানির পরিচালক সুদীপ চ্যাটার্জি এবং প্রভাত চ্যাটার্জি প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করে জানান, সিএসআর প্রকল্পের আওতায় শিশুদের জন্য এই পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এইভাবেই সমাজের জন্য কাজ যেতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৮০-এর দশকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারে তৈরি হয়েছিল হরিণ পার্কটি। যেখানে হরিণ, রাজহাঁস এবং বিভিন্ন ধরণের পাখি রাখা হয়েছিল। এটি শিশু, স্কুলপড়ুয়া ও শহরের ছোটদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান ছিল। অভিভাবকরা প্রায়শই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে বেড়াতে যেতেন। তবে, সময়ের সাথে সাথে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, হরিণের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে এবং পার্কটি অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments