নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বিজেপি সরকারের শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে বুধবার, ৯ জুলাই দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন। নয়া শ্রম কোডে ১২ ঘণ্টার ওয়ার্কিং আওয়ার চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ কর্মীই শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি। তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট।
এই ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার দুর্গাপুরের বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। সেখানে আইএনটিইউসি সভাপতি কামরুজ্জামান কামার বলেন,”শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেন না। কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করানো হচ্ছে। শ্রমিকদের শোষণ করতে শ্রম কোড লাগু হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। এগুলি বন্ধের দাবিতে আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদী সরকার আর এর রাজ্যের তৃণমূল সরকার। কিন্তু ৯ তারিখই বোঝা যাবে, ওদের কত লোক আছে আর আমাদের কত লোক আছে। ধর্মঘট হবেই। বাধা দিতে এলে প্রতিরোধ হবে।”
বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”গণতান্ত্রিক দেশে আইএনটিটিইউসি তাদের ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের যে দাবি দাওয়া নিয়ে ধর্মঘট হবে সেই ধর্মঘটে সমস্ত শ্রমিক শ্রেণী সমর্থন করবে। ৯ তারিখ আমরা রাস্তায় নামবো। বিরোধিতায় যদি কেউ নামে তাহলে মানুষ বিচার করবে।”
অন্যদিকে শ্রম কোডের বিরোধিতা করলেও এই বনধের বিরোধীতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ৯ জুলাইয়ের ধর্মঘটের বিরোধীতায় দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানার বাইরে বিক্ষোভে দেখায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইনটিটিইউসির সদস্যরা। আইনটিটিইউসির কোর কমিটির সদস্য মানস অধিকারী এদিন বলেন,”রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শ্রম কোডের বিরোধিতা করেছেন। উনি আগেই বলেছেন এই শ্রম কোড এ রাজ্যের লাগু করতে দেওয়া যাবে না। তারপরেও কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই বন্ধ ডেকেছে। আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি।”
সব মিলিয়ে আগামী ৯ জুলাইয়ের দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শিল্পশহর জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।