নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে টোটোর দৌরাত্ম্যের অভিযোগে গত সোমবার থেকে অটো ও বাস পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন শহরের চালক ও মালিকরা। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শহরের সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরা। বাস অটো পরিষেবা বন্ধের প্রতিবাদে ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অভিযোগে বুধবার মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হলেন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। এই বিক্ষোভ ঘিরে পুলিশ ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জোর করে মহকুমা শাসকের দপ্তরে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় জেলা কংগ্রেস সভাপতিকে। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয় ক্ষিপ্ত কংগ্রেস কর্মীদের। ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন নিউ টাউনশিপ থানার ওসি নাসরিন সুলতানা। তাঁর সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন দেবেশ।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘অপদার্থ প্রশাসন চলছে দুর্গাপুরে। তিনদিন মিনিবাস এবং অটো বন্ধ। সমস্যায় পড়ছেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ। সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে। এর পরেও কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন।’
এদিকে এদিন মহকুমা শাসক, পরিবহন অধিকর্তা এবং ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেন অটো ও মিনিবাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি।
মিনিবাস সংগঠনের অলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এবার আমরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” অন্যদিকে প্রশাসনের সুর কিছুটা নরম। এসিপি ট্রাফিক রাজকুমার মালাকার জানান, “বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশাবাদী, বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা শুরু হবে।” আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তা দেবাশীষ ঘোষের কণ্ঠেও একই অনুরোধ, “মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে অনুরোধ করছি, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আর কতদিন শহরের পরিবহন ব্যবস্থা এভাবে স্তব্ধ হয়ে থাকবে তা নিয়ে দঃশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে শহরবাসী।





