নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- নদীয়ার কালীগঞ্জে নাবালিকা হত্যার ঘটনার ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ। প্রতিবাদের রেশ এসে পৌঁছল শহর দুর্গাপুরেও। পথে নেমে প্রতিবাদে সরব হল সিপিএম ও কংগ্রেস। বাঁকুড়া মোড় ও সিটিসেন্টার এদিন শহরের দুই জায়গায় চলে দুই রাজনৈতিক দলের বিভোক্ষ, প্রতিবাদ কর্মসূচি। যা ঘিরে সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় শহরের দুই প্রান্তে।
এদিন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা কালীগঞ্জের নাবালিকা তামান্না খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বাঁকুড়া মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নামে । টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। হাতাহাতি থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে উত্তেজনা। সিপিএমের নেতা সিদ্ধান্ত বসু বলেন,”তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। কিন্তু রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না। তারই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। পুলিশ বাধা দিতে এসেছিল তাই প্রতিরোধ করেছি।”
অন্যদিকে এই একই ইস্যুতে সিটি সেন্টারে নগর নিগম মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। এখানেও পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। ১৫ মিনিট ধরে চলে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পরে পুলিশের তৎপরতায় অবরোধ ওঠে । কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন,”তৃণমূল সরকার সারা রাজ্যজুড়ে হত্যা লীলা চালাচ্ছে। উপনির্বাচনে বোমা ছুড়ে নাবালিকা তামান্না খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ করছি। আজ অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখিয়েছি। বাংলার পুলিশ বিরোধীদের আটকে রাখে। কিন্তু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।”
প্রসঙ্গত গত সোমবার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর লিড পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পরে বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছল থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই বোমার আঘাতে নাবালিকার (তমন্না খাতুন) মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর চার সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।





