নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করে রক্ষা পেলেন না মহিলা ও তার দিদি। দুর্গাপুর মহকুমা আদালত মৃতের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল।
দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ইমরান খান জানান, গত ২০২১ সালের মে মাসে ইস্পাত নগরীর বি-জোনের রামানুজমে জানেআলম মিদ্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ভাড়াবাড়ির পাশের গাছ থেকে। জানে আলমের বাড়ি ছিল দুর্গাপুর থানার বিজরা এলাকায়। এই ঘটনায় জানে আলমের পরিবারের লোকজন তার স্ত্রী সাফিয়া মিদ্যা ও বড় শ্যালিকা মনুয়ারা মিদ্যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ এবং তদন্তে পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন ও দেহ লোপাটের তথ্য উঠে আসে। খুন ও দেহ লোপাটের তথ্য প্রমান দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। চার বছর ধরে চলা এই মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষি দেন।
সমস্ত দিক বিবেচনা করে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিং সাফিয়া মিদ্যা ও তার দিদি মনোয়ারা মিদ্যাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল ও ৫ বছরের জেল এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল।
অন্যদিকে দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে দোষীরা সাজা প্রাপ্ত হওয়ায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের এই রায়ে খুশি প্রকাশ করেন মৃত জানেআলমের পরিবার।