নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে গরু পাচারকারী সন্দেহে মারধরের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল কোকওভেন থানার পুলিশ। ধৃত দুই যুবকের নাম কিরণ মান দুর্গাপুরের মহানন্দা পল্লী এলাকার বাসিন্দা এবং বাসুদেব বাদ্যকর নিউ টাউনশিপ থানায় এলাকার বাসিন্দা। এদিন ধৃতদের মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত গরু কাণ্ড নিয়ে শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ও বিতর্ক। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন দুর্গাপুরের জেমুয়া এলাকার বেশ কয়েকজন একটি পিকআপ ভ্যানে করে বাঁকুড়া থেকে গরু নিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি কৃষিকাজের জন্য ওই গরু কিনে আনা হচ্ছিল। পথে কোকওভেন থানার গ্যামন ব্রিজের কাছে তাদের গাড়ি আটকায় বিজেপির যুব মোর্চা নেতা পারিজাৎ গঙ্গেপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা। অভিযোগ গরু পাচারের অভিযোগে গাড়ি থেকে চারজনকে নামিয়ে মারধরের পাশাপাশি কান ধরে উঠবোস ও কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তায় হাঁটানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিনই কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তদন্তে নেমে শুক্রবারই দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে শনিবার বিকেলে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুরে পৌঁছন ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মূল অভিযুক্ত বিজেপির যুব নেতা সহ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আগামী সাত দিনের ডেড লাইন দেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় ধর্মীয় রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যদিও এই ঘটনায় দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দুর্গাপুরের শান্ত মাটিতে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেন। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।





