নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে গরু কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ২। এই নিয়ে গরুকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।
শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ক্ষুদিরাম নগর এলাকা থেকে প্রনয় মধু ও ইস্পাত পল্লী থেকে অনুপম মালকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি কোকওভেন থানার গ্যামন ব্রিজের কাছে গরু পাচারকারী সন্দেহে একটি গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটকে গাড়িতে থাকা চার ব্য়ক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপির যুব নেতা ও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও আক্রান্ত ব্যক্তিরা জানান তারা জেমুয়ার বাসিন্দা এবং কৃষিকাজের জন্য বাঁকুড়ার হাট থেকে ওই গরু কিনে আনছিলেন। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় শিল্পাঞ্চলে। ঘটনার দিনই কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পরের দিনই তদন্তে নেমে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ঘটনায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে সাত দিনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত সহ ঘটনার সাথে যুক্তদের গ্রেফতার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশকে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ওই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দুর্গাপুরের শান্ত মাটিতে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেন। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সব মিলিয়ে গরু কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশ।





