নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- কাঠের অভাবে দাহ করা যায়নি দেহ। তিন দিন ধরে নগর নিগমের গাড়ির ভেতরে পড়ে মৃতদেহ। দুর্গন্ধে ঢেকেছে দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশান। সমালোচনায় বিজেপি।
প্রসঙ্গত গত ২৬ তারিখ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সাতটি বেওয়ারিশ দেহ দাহ করার জন্য নগর নিগমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নগর নিগম নির্দিষ্ট গাড়ি করে দেহ গুলি নিয়ে শ্মশানে পৌঁছে দিলেও, জ্বালানি কাঠের অভাবে দেহগুলি দাহ করা হয়নি। সেদিন থেকেই শনিবার পর্যন্ত শ্মশানে গাড়িতেই পড়ে রয়েছে দেহগুলি। এদিকে ওই দেহগুলি পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে শ্মশান এলাকায়। সেই দুর্গন্ধে নাজেহাল অবস্থায় শ্মশানে আসা মানুষজনের। আত্মীয় পরিজনদের দেহ দাহ করতে নাজেহাল অবস্থায় শ্মশান যাত্রীদের। অন্যদিকে বীরভানপুর মহাশ্মশানের কালীমন্দিরে পুজো দিতে আসা ভক্তদেরও দুর্গন্ধে নাজেহাল অবস্থা। তাঁদের মতে, এভাবে দেহ পড়ে থাকলে রোগ ছড়াতে পারে। ঘটনায় আতঙ্কও ছড়িয়েছে শ্মশান এলাকায়। পুরনিগমের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে শ্মশানে আসা মানুষজনের মধ্যে।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেন, “শুধু শ্মশানে নয় দুর্গাপুর নগর নিগমেও দুর্গন্ধ উঠে গেছে। কাঠের অভাবে বেওয়ারিশ দেহ পড়ে রয়েছে। যারা শ্মশানে আসছেন তাদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আত্মীয়- পরিজনদের যারা দাহ করতে আসছেন তাঁরাও দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”
এদিন অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি জানান, ২৬ তারিখ দেহগুলি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছিল। ২৭ তারিখ দেহগুলি দাহ করার কথা থাকলেও কাঠের অভাবের জন্য তা সম্ভব হয়নি। ২৮ তারিখ মহাশ্মশানে চৈত্র অমাবস্যার পুজো থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছিল দাহ কাজ। তবে শনিবার রাতেই দেহগুলি দাহ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।





