নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মদ ও জুয়ার আসর নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীর গাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা পল্লীতে। ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মহানন্দা পল্লীর পার্কের পাশেই রয়েছে সুবীর সরকারের বাড়ি। সুবীরবাবুর অভিযোগ প্রতিদিন রাতেই ওই পার্কে বহিরাগতরা মদ ও জুয়ার আসর বসায়। গতকাল রাত ১১ নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে পার্কে বসে ওই বহিরাগতদের মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও চেঁচামেচি করতে দেখে তিনি প্রতিবাদ জানান। সুবীরবাবু জানান তাঁকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো চোটপাট শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা। ফলে তিনি স্থানীয় ক্লাব থেকে কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে যান পাশাপাশি পুলিশকেও খবর দেন। সকলে মিলে অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করার দাবি জানালে দুষ্কৃতীরা উল্টে তারদের মারধোর করতে উদ্যোগি হলে পুলিশ পৌঁছে যায়। পুলিশকে দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও তাদের একটি বাইক থেকে যায়। সেই বাইকটি আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সকলে বাড়ি ফিরে যান। রাত দুটো নাগাদ সুবীরবাবু শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠলে লক্ষ্য করেন বাইরে আগুন জ্বলছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন বাড়ির সামনে রাখা চারচাকা গাড়িটি জ্বলছে। প্রতিবেশীদের সাহায্য়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি। ফের খবর দেওয়া হয় পুলিশকে এবং পুলিশ দুজনকে আটক করলেও আরও একজন পলাতক।
সুবীরবাবু বলেন, “ব”রাত জোরে বেঁচে গেছি। পাশেই ছিল রান্নাঘর, গ্যাসের সিলিন্ডার। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। ঘটনায় পরিবারের সকলে রীতিমতো আতঙ্কিত।”
অন্যদিকে ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির জেলা মুখপাত্র সুমন্ত মণ্ডল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দুষ্কৃতীদের একটা স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তৃণমূল সরকার চাইছে সাধারণ মানুষ থেকে যুব সমাজ মদ্যপান করুক, এবং এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ চলুক। পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” যদিও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার শিপুল সাহা বিজেপির বক্তব্যকে গুরুত্ব দিত চাননি। তিনি পাল্টা জানান এই ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ যাথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।





