eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুর থেকে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ দিলীর ঘোষের

দুর্গাপুর থেকে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ দিলীর ঘোষের

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে জঙ্গিপুর ইস্যুতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে বিঁধলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত গতকালই দুর্গাপুরের চিত্রায়লে রামনবমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে শহরে এসেছেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এদিন সকালে বিধাননগরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপির এই প্রবীণ নেতা।

জঙ্গিপুর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে আক্রমণ সানান দিলীপ। বলেন ”সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত আফস্পা আইনে। উনি এক নম্বরের দেশদ্রোহী লোক। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের মতো সাম্প্রদায়িক লোকদের কাঁধে ভর করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। তাই নিরুপায় হয়ে এদেরকে মাথায় করে রেখেছেন। একদিন এদের হিসেব সমান করে দেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যদের বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তি হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া ও পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। যদিও এই অশান্তির জন্য পুলিশেরই ওপর দায় চাপান রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, লাঠিচার্জ করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। মন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্যই তাকে এদিন গ্রেফতারের দাবি তোলেন দিললীপ ঘোষ।

অন্যদিকে ২০২২ সালে পুলিশের উপর হামলার বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্য টেনে জঙ্গিপুরের ঘটনার তুলনা করে এদিন অভিষেককে বিঁধে দিলীপ বলেন, ”অভিষেক তো বলেছিলেন কপালে নাকি গুলি করতেন, আজ রক্ত ঠান্ডা হয়ে গেছে! দম থাকে তো মুর্শিদাবাদে গিয়ে গুলি করার কথা বলুক! কিন্তু এমন করলে তৃণমূলের সিংহাসন টলে যাবে, রাস্তায় নেমে আসতে হবে। তাই ভয় সকলে চুপ।” প্রসঙ্গত ২০২২ সালে বিজেপির লালবাজার অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে আহত একাধিক পুলিশকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, “পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুষ্কৃতিদের মাথায় গুলি করা উচিত।”

এদিনের প্রাতঃভ্রমণে দিলীপবাবুর সঙ্গী হয়েছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিধাননগরের রাস্তায় হাঁটার পর স্থানীয় স্যান্টোস ক্লাব ময়দানে সঙ্গীদের সঘ্দে শরীর চর্চাও করতে দেখা যায় বিজেপি নেতাকে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments