নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমি দখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাল্টা দাবি অভিযুক্তদের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুরের গোপালমাঠ সংলগ্ন বনগ্রাম এলাকায়। আহত ব্যক্তি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে দুর্গাপুরের গোপালমাঠ সংলগ্ন বনগ্রাম এলাকায় ডিএসপির কিছু জমি রয়েছে। যার পাশে একটি পুকুরও রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা ছোট্টু বাউরির দাবি পুকুর সংলগ্ন ডিএসপির জমিতে সম্প্রতি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে জয়ন্ত বাউরি। ওই পুকুরে স্থানীয় মহিলারা স্নান করেন। তাই পুকুর সংলগ্ন ডিএসপির ওই জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি তৈরির প্রতিবাদ করেছিলেন। অভিযোগ এরপরই রবিবার দুপুরে জয়ন্ত বাউড়ি ও তার মা ও আরও কয়েক জন মিলে ছোট্টু বাউড়ির বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁকেও মারধর করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অল্পবিস্তর আহত হন ছোট্টু বাউড়ির স্ত্রীও। ঘটনায় ছোট্টু বাউড়ি আহত হলে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের শয্য়ায় শুয়ে ছোট্টু বাউড়ি এদিন অভিযোগ করেন বনগ্রাম এলাকায় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদতে ডিএসপির জমি প্লট করে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি সেখানে বাড়িও তৈরি হচ্ছে। তিনি তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তাঁর মুখ বন্ধ করতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় ও মারধর করা হয়। পাশাপাশি হামলাকারী জয়ন্ত বাউড়ি তৃণমূল আশ্রিত বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্য দিকে জয়ন্ত বাউড়ি অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলেও দাবি করেন। জয়ন্ত বাউড়ির দাবি, এলাকায় তিনি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ছোট্টু সেখানে তাঁর জমি রয়েছে বলে আচমকা ঝামেলা শুরু করে ও কাজে বাধা দেয়। এখন সে মিথ্যে অভিযোগ করছে। তবে তিনি যে জমিতে বাড়ি করছেন সেটি যে ডিএসপির জায়গায় সেটা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি স্থানীয় এক ব্য়ক্তির দখলে ওই জমি ছিল। সে টাকা নিয়ে ওই জমিতে বাড়ি বানানোর অনুমতি দিয়েছে।
ঘটনায় মেল মারফত দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ছোট্টু বাউড়ি।





