নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- ডিভিসির উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে ধুন্দুমার কাণ্ড দুর্গাপুরের মায়াবাজার ডিটিপিএস এলাকায়। এলাকার বস্তি উচ্ছেদ করতে গেলে ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়ান এলাকার মহিলারা। যা নিয়ে সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিটিপিএস বা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন সংস্থার সম্প্রসারনের কাজ শুরু করেছে ডিভিসি। প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ৮০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর জমি। গত বছর থেকেই ডিভিসির অধিৃত জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য লাগাতার চলছে উচ্ছেদ অভিযান। আর এই উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে। ইতিমধ্যে মায়াবাজারে ডিটিপিএস টাউনশিপ এলাকায় বহু জমি পুনরুদ্ধারও করেছে কর্তৃপক্ষ। ভাঙা হয়েছে বহু বেদখল আবাসন। এছাড়াও ডিভিসির জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ বস্তি উচ্ছেদ করে শুরু হয়েছে সীমানা প্রচীর দেওয়ার কাজ।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীনই শনিবার সকালে ডিটিপিএস এলাকার ডাংপাড়া বস্তি উচ্ছেদ অভিযানে নেমে বাধার মুখে পড়েন ডিভিসির আধিকারিকরা। ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়ান বস্তির মহিলারা। তারা পুণর্বাসনের দাবি জানাতে থাকেন। এলাকার মহিলারা বলেন, “তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। এখন তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিলে কোথায় যাবেন। বিশেষ করে এই শীতের সময়ে পরিবারের বাচ্চা বয়স্কদের নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন। পুনর্বাসন না দিয়ে এভাবে ঘরবাড়ি ভেঙে দিলে পরিবার নিয়ে তাদের মরতে হবে।” তাই আগে পুনর্বাসন দিতে হবে, না হলে তারা জমি কোনভাবেই ছাড়বেন না।
অন্যদিকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অমিত মোদি এই উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “৮০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাধা দিচ্ছে বস্তির মানুষ। এইভাবে বাধা দিলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যাবে।”



















