নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- শিল্প শহর দুর্গাপুর। শহরে রয়েছে বহু কল-কারখানা। তাই কারখানার শ্রমিকদের চিকিৎসাক জন্য গড়ে উঠেছে ইএসআই হাসপাতাল। কিন্তু এতদিন ইএসআই হাসপাতালে ছিল না কোন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। সেই জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বা অসুস্থ শ্রমিকদের রেফার করা হতো বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। এবার আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না শ্রমিক কর্মচারীদের। দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে চালু হল ২০বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও সি আর্ম মেশিন পরিষেবা। অস্ত্রপ্রচারের সময় এই সি-আর্ম মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত আঘাতের জায়গা চিহ্নিত করে কম সময়ে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে।
শনিবার এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও সি আর্ম মেশিনর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার দীপাঞ্জন বক্সি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,”এ রাজ্যে যা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে তা সারা দেশের অন্য কোনো রাজ্যে নেই। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেই জন্য প্রতিবছর ভারত সরকার ৫০ কোটি টাকা করে ইন্সেন্টিভ দেয়।”
অন্যদিকে ভেজাল ওষুধ নিয়ে কেন্দ্রেকে তোপ দাগেন দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, “ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের, এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্র যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে তারাই ভুয়ো ওষুধের কারবার করছে। সেই ওষুধ খেয়ে কোন কাজ হচ্ছে না রোগীদের। বরং মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। আর বাড়ির লোকেদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। আমি এর জন্য লড়ছি। যতদূর যাওয়ার যাব।”





