নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– ডিভিসির উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে ধুন্দুমার কাণ্ড দুর্গাপুরের ডিটিপিএস টাউনশিপে। চললো পুলিশ জনতা ধস্তাধস্তি। কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় সাংবাদিকদের মোলাইল ক্যামেরা। এমনকি পাথর ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
প্রসঙ্গত প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিটিপিএস বা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন সংস্থার সম্প্রসারনের কাজ শুরু করেছে ডিভিসি। বুধবার ডিটিপিএস টাউনশিপ সংলগ্ন বস্তি এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। জেসিবি মেশিন চালিয়ে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এরই মধ্যে বস্তিরক্ষা কমিটির অন্যতম নেতা অরিন্দম নায়েকের নেতৃত্বে কয়েকজন উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। অন্য একটি পক্ষে আবার উচ্ছেদের সমর্থনে সরব হয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ক্রমে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এবং পুলিশের সামনেই বস্তিরক্ষা কমিটির নেতা অরিন্দম নায়েকের উপর চড়াও হন অপর পক্ষের লোকজন। দুপক্ষের এই সংঘর্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি সাংবাদিকদের মোলাইল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। এরপর পুলিশ কোনমতে গুরুতর জখম অবস্থায় অরিন্দম নায়েককে উদ্ধার করে।
এই সংঘর্ষ নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী মলয় মণ্ডল বলেন, “কারখানার যাতে সম্প্রসারণ হয় সেটাই আমরা চাই। কিন্তু বাইরে থেকে আসা অনেকে কয়েকজনকে নিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। অরিন্দম নায়েক বহিরাগত। আমাদের কেউ ওর গায়ে হাত দেয়নি ও নাটক করে সহানুভূতি আদায় করতে চেয়েছিল, আমরা প্রতিবাদ করেছি।” অন্যপক্ষের চুমকি আঁকুড় বলেন, “আমাদের আন্দোলন ভেঙে দিতে তৎপর হয়েছে কেউ কেউ। তার জন্যেই এই পরিস্থিতি।”
অন্যদিকে এদিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেয় ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ডিটিপিএস-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অমিত কুমার মোদি জানান, “আপাতত ১ লা এপ্রিল পর্যন্ত বস্তিবাসীদের সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে জমি খালি করার জন্য বলা হয়েছে। জমি খালি না করলে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।





