eaibanglai
Homeএই বাংলায়অস্থায়ী কর্মীদের জোর করে নিরাপত্তার কাজে যোগ দেওয়ার চাপ, আন্দোলন

অস্থায়ী কর্মীদের জোর করে নিরাপত্তার কাজে যোগ দেওয়ার চাপ, আন্দোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- রাজ্য সরকারি কারখানার ১৫৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে কোন বোর্ড মিটিং না করে, নোটিশ না দিয়ে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি এজেন্সি কোম্পানির আন্ডারে যুক্ত করে কাজ করার নির্দেশ। প্রতিবাদে কারখানার গেটের সামেন তুমুল বিক্ষোভে সামিল হলেন ওই কর্মীরা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে দূষণ ছড়ানোর দায়ে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য় সরকারের অধীন দুর্গাপুর কেমিক্যালস। এই কারখানায় কস্টিক তৈরি হতো। এরপর থেকে রাজ্য সরকারের অধীনস্ত এই সংস্থার সম্পত্তি দেখভালের জন্য ১৫৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে এজেন্সি মারফত নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ নিয়মিত বেতন না পেলেএও নিয়মিত শিফটিং এ ডিউটি করছিলেন তারা। কেউ পাম্প অপারেটর তো কেউ ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের কর্মী, এরকম নানা কাজের দায়িত্বে ছিলেন কর্মীরা।

অভিযোগ হঠাৎ করেই তাদের জেনারেল এজেন্সি ছেড়ে এক সিকিউরিটি এজেনসির আন্ডারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, কেন পাম্প অপারেটর ইলেকট্রিক ম্যান পদ থেকে সরিয়ে তাদের নিরাপত্তারক্ষী কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার কারখানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী অস্থায়ী শ্রমিকরা।

এদিকে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি। তাদের দাবি যবে থেকে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যে একটা শিল্প করতে পারেনি। অথচ বিধান চন্দ্র রায়ের তৈরি শিল্পাঞ্চলের কলকারখানা বন্ধ ও শ্রমিক কর্মচারীদের পেটে লাথ মারার চেষ্টা করে চলছে। অন্যদিকে দুর্গাপুর কেমিক্যালসের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ওই কর্মীরা অস্থায়ী । সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ করলেও সেই অস্থায়ী থাকবে। তাদের চাকরী তো যাচ্ছে না। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন দুর্গাপুর কেমিক্যালসের অস্থায়ী কর্মীরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments