নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বিএলও-দের উদ্দেশ্য করে মুখ্য়মন্ত্রীর করা মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দুর্গাপুরের বুথ লেভেল অফিসার চিরঞ্জিত ধীবরের। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি আমি ভুয়ো ভোটার পেলে অবশ্যই নাম বাদ দেবো। আমি বিএলও। নিরপেক্ষভাবে ডিউটি আমার দায়িত্ব। আমাদেরকে আপনি চাকরি দেননি যে আপনি চাকরি কেড়ে নেওয়ার ভয় দেখাবেন।”
এদিকে তার এই পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই পোস্ট প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত এদিন বলেন “মুখ্য়মন্ত্রী পরোক্ষভাবে আমাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যাতে ভোটার তালিকা থেকে কারো নাম বাদ না যায়। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করা আমার দায়িত্ব। আমাদের এখনো ট্রেনিং সম্পন্ন হয়নি। তবুও আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি মৃত মানুষদের নাম বাদ দিতে হবে। সমস্ত ভুয়া ভোটার বাদ দিতে হবে। সংবাদ মাধ্যমে আমরা এমনটাও জানতে পেরেছি অনেকের বাংলাদেশেও ভোটার কার্ড রয়েছে আবার এদেশেও ভোটার কার্ড রয়েছে। এছাড়াও কোন ব্যক্তির কোন এলাকায় ভোটার কার্ড রয়েছে কিন্তু সেই ব্যক্তি সেই এলাকায় থাকেনি না। কিন্তু তার ভোট পড়ে যাচ্ছে সব নির্বাচনে। এরকম নানা সমস্যা রয়েছে। সেই জন্যই সারাদেশ জুড়ে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চলছে। আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে চাই।”
প্রসঙ্গত চলতি বছরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন ।পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার অনেক আগেই এ রাজ্যে সমীক্ষার কাজ শুরু হতে চলেছে। ২০০২ সালে এরাজ্যে শেষবার নিবিড় সমীক্ষার কাজ হয়েছে।
এই আবহে গত পরশু বীরভূমের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাংলায় বুথ স্তরের আধিকারিক বা বিএলও-দের কাছে মানুষজনকে অযথা হেনস্থা না-করার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিএলও-দের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বিএলও-দের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, ভোটার তালিকা থেকে যাতে কারও নাম বাদ না-যায় সেটা দেখার। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর দায়িত্ব নেয় নির্বাচন কমিশন। তার আগে এবং পরে রাজ্য সরকারের হাতেই প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকে। আপনারা রাজ্য সরকারের চাকরি করেন। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্থা করবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে পোস্ট লেখেন চিরঞ্জিত। যা নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্কও। কেউ সরকারি আধিকারিকের পক্ষে মতামত দিয়েছেন তো কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক লড়াই।





