নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দিন দুই আগে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার অম্বুজার বাসিন্দা এক ডব্লিউবিসিএস অফিসারের বিরুদ্ধে শীতের রাত্রে তাঁর স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি দুর্গাপুর থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন ওই সরকারি অফিসারের স্ত্রী । যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। এবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানো, মানসিক অত্যাচার ও ১ কোটি টাকা দাবি করার অভিযোগ করলেন ওই ডব্লিউবিসিএস অফিসার নীলাদ্রি মুখোপাধ্যায় ও তাঁর মা গীতা মুখোপাধ্যায়। এমনকি তাঁদের অনুপস্থিতে সুতপাদেবী বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালিয়ে বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যান বলেও এদিন অভিযোগ করেন নীলাদ্রিবাবু ও তাঁর মা। ফলে বাড়িতে ঢুকতে তাঁদের পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় বলে দাবি করেন নীলাদ্রিবাবু । এদিন দুর্গাপুর থানায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন গীতাদেবী।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুরের বেঙ্গল অম্বুজার বাসিন্দা প্রয়াত রাজ্য পুলিশের আধিকারিক শেশাদ্রি মুখোপাধ্যেয়ের ছেলে নীলাদ্রি মুখোপাধ্যায় ডব্লিউবিসিএস গ্রুপের অফিসার। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহকারী দপ্তরে কর্মরত। নীলাদ্রি জানান তাঁর মা অসুস্থ থাকায় তাঁরা গত দুদিন বাড়িতে ছিলেন না। আজ বাড়িতে ফিরে দেখেন তাঁর স্ত্রী সুতপা বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে চলে গেছেন, এমনকি ফোনে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানতে পেরেছেন দলবল নিয়ে বাড়ির জিনসপত্রও লুটপাট করে নিয়ে গেছেন তিনি। নীলাদ্রিবাবুর অভিযোগ বিয়ের দিন দশ পর থেকেই তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িত। তার পর থেকেই তাঁর ও তাঁর মার উপর মানসিক অত্যাচার শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। এমনকি ১ কোটি টাকাও দাবি করেন।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার দুর্গাপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে সুতপাদেবী অভিযোগ করেছিলেন সোমবার রাতে কনকনে শীতের মধ্যে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন নীলাদ্রিবাবু ও তাঁর মা গীতাদেবী। অসহায় অবস্থায় পুরো বিষয়টি বাপের বাড়িতে জানালে তারাই এসে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান।
এদিকে শহরের অভিজাত এলাকার একটি অভিজাত ও শিক্ষিত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এহেন টানাপোড়েনে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত বছর খানেক আগেই বিয়ে হয়েছিল নীলাদ্রিবাবু ও সুতপাদেবীর।