নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- সারা পৃথিবী জুড়ে প্রযুক্তির জাগরণে অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম। সারা পৃথিবীর খবর এখন হাতের মুঠোয়। আজ মানুষ সহজেই নিজের হাতে থাকা মুঠোফোনের সাহায্যে গোটা পৃথিবীর অজানা তথ্যকে চোখের নিমিষে আয়ত্ত করতে পারছে। এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে গোটা বিশ্বে চলছে এখন নবজাগরণ। সব থেকে বড় যে সাফল্য এসেছে তা হল মানুষের মধ্যে সামাজিক মেলবন্ধনের জায়গা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব। হাতের মুঠো ফোনের উপর নজর দিলেই একের পর এক নতুন সব অজানা তথ্যের হদিশ।

গোটা পৃথিবীর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক যুবক এখন এই প্রযুক্তি ও নবজাগরণের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও তার আশেপাশের অঞ্চলের খুঁটিনাটি খবর সারা পৃথিবীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের এমনই এক বিখ্যাত ফেসবুক পেজ ‘দুর্গাপুর লাইভের’ উদ্যোগে গত রবিবার( ২৪/০৮/২৫) সন্ধ্যায় মিট আপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দান যেটি চিত্রালয় মালা ময়দান বলে পরিচিত। এদিন কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে উদযাপিত হয় “ফিফটি কে” সেলিব্রেশন। এদিন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী প্রায় শতাধিক মানুষজন এই দুর্গাপুর লাইভ ফেসবুক পেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতার কথা জনসমক্ষে আনেন।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মনোজ সিংহ। এদিন দুর্গাপুর লাইভ পেজের কর্ণধার অনন্ত কর্মকার তাকে পুষ্প স্তবক ও স্মারক দিয়ে স্বাগত জানান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মনোজ সিংহ জানান,”আগামী দিন প্রযুক্তির যুগ। আগামী দিনে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে চলবে সংবাদ মাধ্যম আর তার মূল কাঠামোই হয়ে দাঁড়াবে সামাজিক মাধ্যম। দুর্গাপুরের যে সকল নতুন যুবক যুবতীরা এই পেশার সাথে যুক্ত হচ্ছেন আগামী দিনে তারা দুর্গাপুরের গৌরবময় ইতিহাস, সুখ-দুঃখ ও চাওয়া পাওয়াকে এক নতুন দিগান্তে নিয়ে যাবে। আগামী দিনে মানুষ শুধুমাত্র এই হাতের মুঠোফোনের মধ্যেই পৃথিবীর সমস্ত অজানা তথ্য কে জেনে নেবে। তাই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের যেসব যুবক যুবতীরা এই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন তাদেরকে আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে তাদের পরিবেশিত খবর, সংবাদ ও স্থানীয় তথ্যর উপরে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ রয়েছে মিথ্যা ও ভুয়ো খবর ছড়ানোর তার থেকে মুক্তি পেতে সঠিক তথ্য ও চুল চেরা বিশ্লেষণের ওপর নির্ভরশীল তথ্য আগামী দিনে আরো বেশি করে সামাজিক মাধ্যমে দিতে অনুরোধ করেন তিনি।” এদিন তিনি দুর্গাপুর লাইভ পেজের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং উপস্থিত সকলকে আগামী দিনে একত্রিত হয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগের এক অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দুর্গাপুর লাইভ পেজকে পছন্দ করবেন এই কামনা রাখেন।

এদিন দুর্গাপুর লাইভ পেজের কর্ণধার অনন্ত কর্মকার জানান “খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ৫০ হাজার সামাজিক বন্ধু আমরা এই পেজে যুক্ত করতে পেরে আনন্দিত। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা এক লক্ষ সামাজিক বন্ধুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাব বলে মনে করি। আর দশটা ফেসবুক লাইভ পেজের পেজের মত আমরা শুধুমাত্র ভিডিও, রিল ও বিজ্ঞাপন দিয়েই সামাজিক মাধ্যম ভরিয়ে তুলি না। তার বদলে দুর্গাপুরের ইতিহাস, দুর্গাপুরের দৈনন্দিন সমস্যা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের তথ্য সহ সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের তথ্য কে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। আগামী দিনেও দুর্গাপুরের সামাজিক মাধ্যমে এক অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু ও বিশ্বাসযোগ্যতার এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারব আশা রেখি।” দুর্গাপুর ফেসবুক লাইভের সকল সামাজিক বন্ধুকে আজকের দিনে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি অভিনন্দন জানান।
এই দিনের এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপুর লাইভ পেজের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল দুনিয়ার বন্ধুদেরকে সরাসরি সশরীরে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করার সুদক্ষ কাজ সম্পূর্ণ করল।


