মনোজ সিংহ,দুর্গাপুরঃ- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা শেষ হতে না হতেই চলে আসে কোজাগরী লক্ষীপুজো। শরৎকাল বা আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বাংলার ঘরে ঘরে পূজিতা হন ধনের দেবী। এই বছর ১৬ই অক্টোবর রাত্রি আটটা চল্লিশ মিনিটে পূর্ণিমার তিথি শুরু হয় এবং ১৭ তারিখ বিকেল চারটে পঞ্চান্ন নাগাদ পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে। সাধারাণত সন্ধ্যের পর পূর্ণিমার চাঁদ থাকাকালীন ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। তাই এবার ১৬ অক্টোবর বুধবার অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এছাড়াও মনে করা হয় এই শরৎ পূর্ণিমাতেই বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল চাঁদের দেখা মেলে। কিন্তু গতকাল আবহাওয়ায় খামখেয়ালিতে শিল্পাঞ্চলের আকাশে চাঁদের দেখা মেলেনি। ফলে এবার চাঁদ বিহীন কোজাগরি লক্ষী পুজো দেখল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলবাসী। যা বিরলতম ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে। আবার এই বিরল ঘটনা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে নানা মহলে।
শহরবাসীর অনেকে মনে করছেন এসব পাপ বাড়ার ফলেই হচ্ছে। বিশেষত প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে যেভাবে অনাচার অবিচার ও পাপের প্রাদুর্ভাব ঘটছে তার ফলে দেব দেবীরা নাকি রুষ্ট হয়েছেন মর্তলোক বাসীদের ওপর। তাই তাদের প্রকোপ পড়েছে বলেই ধারণা হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষদের একাংশের। শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের একাধিক প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনাগুলিকে ভগবানের প্রতিবাদের ভাষা বলেও মনে করছেন। তাদের মতে এবছর মা দুর্গাও রাত দখল করেছেন। কারণ এবছর দুর্গা পুজোর প্রায় সবকটি তিথিই মধ্যরাত্রের পরেই পড়েছিল। এবার লক্ষ্মীপুজোর দিন চাঁদ দেখতে না পাওয়াও দেবীর প্রতিবাদেরই অঙ্গ হিসেবেই মনে করছেন তারা। যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা এই ঘটনাগুলিকে নিছক কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিলেও শিল্পাঞ্চলের তথা বাংলার মানুষের একাংশের মত, অন্যায় অবিচার ও পাপের ফলে আগামী দিনে মর্তলোকে যে প্রলয় আসতে চলেছে এটা তারই ইঙ্গিত।