নিজস্ব সংবাদদাত,দুর্গাপুরঃ- শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দর নেমে তিনি সড়ক পথে গান্ধীমোড়ে পৌঁছবেন। সেখান থেকে জনসভাস্থল নেহেরু স্টেডিয়াম প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা অঘোষিত রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে ফুল ছুঁড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন বিজেপি নেতারা। রোড শোয়ের পর নেহেরু স্টেডিয়ামে পৌঁছে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।
দুর্গাপুরে মূলত তেল,গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক এবং রেল ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল)-এর সিটি গ্যাস বন্টন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ১,৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। এর সাহায্যে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিতে পিএনজি সংযোগ প্রদান করা হবে। এছাড়া দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদীয়া জেলার মধ্য দিয়ে এই পাইপলাইন যাবে। এটি প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্প নামেও পরিচিত। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১,১৯০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন বায়ু ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পূরণে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে রেট্রোফিটিং পলিউশন কন্ট্রোল সিস্টেম ফ্লু গ্যাস ব্যবস্থার (এফজিডি) সূচনা করবেন। অন্যদিকে রেল পরিকাঠামোকে উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা পর্যন্ত রেললাইন ডাবলিং করার কাজটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর ফলে, জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ উন্নত হবে, পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে এবং শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি দাবি বলেন, “তৃণমূলের আমলে রাজ্যে শিল্প ধ্বংস হয়েছে। শুধু আবগারি ও লটারির মাধ্যমে রাজ্য সরকার চলছে। দেশে মজদুরের রাজ্য হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে বিনিয়োগ করুন শিল্পপতিরা, আর শুধু একবছর অপেক্ষা করুন।” এর পাশাপাশি দুর্গাপুরের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দাবি করেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দুর্গাপুরের উন্নতি দেখতে পাবে মানুষ। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রাজ্য সমন্বয়ের মধ্যে পুনর্জীবন হবে।





