eaibanglai
Homeএই বাংলায়"রাস্তা বন্ধ করে টাকা তুলছে তৃণমূলের পাড়ার নেতারা" পোস্টার ঘিরে দুর্গাপুরে বিতর্ক

“রাস্তা বন্ধ করে টাকা তুলছে তৃণমূলের পাড়ার নেতারা” পোস্টার ঘিরে দুর্গাপুরে বিতর্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান” শিবিরের সামনে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তুলে পড়ল পোস্টার। সেই পোস্টারে চাওয়া হল সমাধান। যা ঘিরে শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা।

প্রসঙ্গত দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা এলাকায় “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান” শিবিরের সামনে গতকাল কিছু পোস্টার দেখা যায়, যাতে লেখা রয়েছে, “ভিড়িঙ্গি থেকে তামলা বস্তি পর্যন্ত রাস্তাটি কয়লা ডিপোর কাঁচরা দিয়ে তৈর। সেই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন এলাকার শ্রমিক, স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। অথচ সেই রাস্তা আটকে গাড়ি পিছু টাকা তুলছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মানিক রুইদাস, শংকর রায়, ভিকি শর্মারা। এটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন রইল। পাড়া বাসী।” যদিও পোস্টার কে বা কারা দিয়েছে তা জানা যায়নি। যদিও পোস্টারে দাবি করা হয়েছে পোস্টারটি পাড়াবাসীদের।

এদিকে “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান” শিবিরে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে পোস্টার ঘিরে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। পোস্টারে নাম থাকা তৃণমূল কর্মী শঙ্কর রাই অবশ্য দাবি করেন, তাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি তিনি টাকা তোলার প্রমান দেওয়ারও চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে।

যদিও জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা আক্রমণে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “এই সরকার যেদিন বিদায় হবে সেদিন আমাদের পাড়ায় আমাদের সমাধান কার্যকর হবে। কাটমানি নেওয়া হচ্ছে, মানুষ তার যোগ্য জবাব দিচ্ছে।”

অন্যদিকে দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ আবার এর জন্য পরোক্ষে কেন্দ্র সরকারকে দোষারোপ করে বলেন, “এই শিল্পাঞ্চলে কেন্দ্র সরকারে একাধিক বড় বড় প্রকল্প কারাখানা রয়েছে। তার প্রয়োজনে রাস্তা দিয়ে ভারী ভারী ডাম্পার যাতায়াত করে। অথচ রাজ্যের উন্নয়নের কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ওই টাকা আটকে থাকায় রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন থমকে থাকছে।”

এদিকে আবার দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারী বলেন,”এই রাস্তা নির্মাণের জন্য কয়েক বছর আগে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। রাস্তাটি যেহেতু দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের। সেই জন্য তাদের অনুমতি ছাড়া রাস্তা করা যাবে না। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে সেটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments