নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও রাজ্য সরকারের অধীনস্থ আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক আনুকূল্যে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের নতুন আদালত ভবনের সামনে নবনির্মিত দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের দ্বিতল ভবনটি আজ শুভ উদ্বোধন হল। বাংলার নববর্ষের পুণ্য লগ্নে রাজ্যের মাননীয় মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের উপস্থিতিতে নবনির্মিত দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের এই দ্বিতল ভবনটি দুর্গাপুর প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক ডক্টর সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর নগর নিগমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখার্জি, দুর্গাপুর নগর নিগমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড মেম্বার অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়(জহর দা), রাখি তেওয়ারি, ধর্মেন্দর যাদব, দুর্গাপুরের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু সাঁই সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগণ।
এদিন প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের জন্য রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় এই দ্বিতল ভবনটি তৈরি করেছেন। আজ থেকে দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের পরিচালন সমিতির হাতে এই ভবনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল।

অন্যদিকে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে কর্মরত বহু সাংবাদিক এই দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনে উপস্থিত থাকতে না পারার ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এই দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের পূর্বতন সম্পাদক সঞ্জীব সুঁই এক লিখিত বিবৃতিতে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দপ্তর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য এই সাংবাদিক সঞ্জীব সুঁই নাকি প্রথমবার রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্য সভায় দুর্গাপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের একটি ভবনের নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সঞ্জীব বাবু দাবি করেন, “শুধুমাত্র তাঁর অনুরোধের কারণেই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের জন্য একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদকে। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুরে বহু সাংবাদিক দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের মেম্বারশিপ না দেওয়ার ফলে রাজ্য সরকার দ্বারা নির্মিত এই ভবনটি ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যেখানে দুর্গাপুরের সকল সাংবাদিকদের জন্য এই দ্বিতল প্রেস ক্লাবটির নির্মাণ করেছেন সেখানে কেন কতিপয় সাংবাদিকদেরকে নিয়ে এই অনুষ্ঠান ও ভবন হস্তান্তর করা হল তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।”
দেখে নেওয়া যাক গতকাল দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক ঠিক কি বার্তা দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।

সকল বিতর্ক, বঞ্চনা ও অসহযোগিতাকে সঙ্গে করে আজ দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের নতুন দ্বিতল ভবনটি দুর্গাপুর প্রেস ক্লাব পরিচালন সমিতির হাতে হস্তান্তর হল। আগামী দিনে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সকল সাংবাদিকরা এই ভবনটির যথাযথ ব্যবহার করতে পারবেন এই আশা রাখেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সকল সাংবাদিক ও বাসিন্দা।






