eaibanglai
Homeএই বাংলায়‘রঘু ডাকাত’ -এর পুরো টিম নিয়ে দুর্গাপুরে হাজির হচ্ছেন সুপারস্টার দেব

‘রঘু ডাকাত’ -এর পুরো টিম নিয়ে দুর্গাপুরে হাজির হচ্ছেন সুপারস্টার দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- এবার পুজোয় বাংলার দর্শকদের জন্য টলিউড সুপারস্টার দেবের উপহার ‘রঘু ডাকাত’। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি । তাঁরই প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। যেখানে দেবকে দেখা যাবে কুখ্যাত দস্যু রঘুর ভূমিকায়। ছবির প্রচারে আগামী কাল ১৫ সেপ্টেম্বর ‘রঘু ডাকাত’-এর পুরো টিম নিয়ে দুর্গাপুরে হাজির হচ্ছেন দেব। তবে আগের জানানো হয়েছিল, তাঁর এই প্রচার অনুষ্ঠানটি হবে সিটিসেন্টারের জংশন মলে। কিন্তু প্রশাসনিক নিরাপত্তার কারণে স্থান বদল করে করা হয়েছে সিটিসেন্টারেরই চতুরঙ্গ দূর্গাপূজার ময়দান, বিকেল ৪টায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে শিল্পশহরের দেব ভক্তদের মধ্যে।

দস্যু রঘুর চরিত্রে দেবের লুক প্রকাশের পর থেকেই ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। একের পর এক নতুন রকমের চরিত্রে নিজেকে ভাঙছেন তিনি। এবার বাংলার দুঃসাহসী রঘু ডাকাতের গল্প নিয়ে পর্দায় ফিরছেন বাংলার সুপারস্টার। ছবির টিজারে ‘রঘু ডাকাত’ লুকে দেব রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেবকে এমন রূপে দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। খর্গ হস্তে রঘু ডাকাতের রূপ দেখে শিহরিত হতে হয়। ‘রঘু ডাকাত’ রূপে দেবকে বড় পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকরা।

কিন্তু কে এই রঘু ডাকাত? নীলকর সাহেব থেকে শুরু করে ইংরেজ, জমিদারদের ত্রাস ছিলেন তিনি। কিন্তু গরিবদের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুড। তথ্য প্রমাণ বলছে রঘুর জন্ম অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে। তিনি জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলাদেশের এক কৃষক পরিবারে। তাঁর নাম রঘু ঘোষ। ডানপিটে এই ছেলে ছোট থেকেই সাক্ষী ছিল ব্রিটিশদের অত্যাচারের। সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলিকাতায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। গরিব, নিরীহ চাষিদের বাধ্যতামূলকভাবে করানো হত নীল চাষ। আর নীল ফলানো জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেসব কানে নিতেন না নীল সাহেবরা। বরং নীল চাষে রাজি না হলে পেয়াদা পাঠিয়ে সেই কৃষকদের তুলে আনা হত। শোনা যায়, রঘু ঘোষের বাবাও ছিলেন একজন সাধারণ কৃষক। নীল চাষে রাজি না হওয়ায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাহেব কুঠিতে, নৃশংস অত্যাচারের পর তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামেরই এক গাছের সঙ্গে। এরপর থেকেই রঘুর প্রতিশোধ স্পৃহা চাগাড় দিয়ে ওঠে। তিনি ঠিক করেন, এর প্রতিশোধ নেবেন। তাঁর নেতৃত্বে গ্রামের দামাল ছেলেদের নিয়ে তৈরি হল লাঠিয়াল বাহিনী।এরপর একেরপর এক নীলকর সাহেবদের বাড়িতে হামলা চালাতে শুরু করে রঘু ও তাঁর দলবল।

রঘুর আরাধ্য দেবী ছিলেন মা কালী। অমাবস্যার রাতে ভক্তি সহকারে কালী পুজো করে, সিঁদুর আর বলির রক্ত মেশা তিলক পরে তবেই লুঠপাটের বের হত রঘুর দল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত একাধিক কালী মন্দির আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলার বুকে। একবার নাকি সাধক রামপ্রসাদকে তিনি মাকালীর সামনে বলি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন রঘু। তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন স্বয়ং মা কালী। তারপর থেকেই সংকল্প করে ডাকাতি এবং নরবলি বন্ধ করেছিলেন রঘু। জানা যায়, পরবর্তী জীবন তিনি একজন কালী সাধক হিসেবেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন।

এই সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন টলিউড অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এছাড়া অন্য়ান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সোহিনী সরকার, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ওম সাহানির মত তারকা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments