eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ

দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের মামলায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিল নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। ঘটনার ২০ দিনের মাথায় জমা পড়লো চার্জশিট। এদিন সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান নিউ টাউনশিপ থানার কর্তব্যরত আধিকারিকদের তৎপরতায় ২০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দ্রুত ট্রায়াল শুরু হবে,এমনকি দুমাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ হয়ে মামলার নিষ্পত্তি হবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন তিনি। এই ক্ষেত্রে যাতে কাস্টডি ট্রায়াল হয়, তারজন্য সরকারের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত চলতি মাসের ১০তারিখ রাতে আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রী তার পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। তদন্তে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় বিজড়া গ্রামের পাঁচ যুবককে পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় ছাত্রীর সহপাঠীকেও। ঘটনার কুড়ি দিনের মাথায় ধৃতদের জেরা করে এবং তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট গঠন করে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। তারপরেই বৃহস্পতিবার সেই চার্জশিট জমা করা হয়।

চার্জশিটে অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে মোট ১৮ টি সেকশানে মামলা দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার সহপাঠী (ওয়াসেফ আলি) বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ধর্ষণের ধারা বা সেকশানের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে । বাকি ৫ জনের মধ্যে অপু বাউরি,শেখ নাসিরউদ্দিন ও শেখ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, তোলাবাজি ও ডাকাতির ধারা দেওয়া হয়েছে। শেখ রিয়াজউদ্দিন ও সফিক শেখের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ধারা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর দুর্গাপুরে আদালতে এই মামলার টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন বা টিআই প্যারেডের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিলো পুলিশের তরফে। সেই রিপোর্টে পুলিশ জানায় যে, ফিরদৌস শেখই এই ধর্ষণ কান্ডে মূল অভিযুক্ত। সেই ধর্ষণকারী। বাকি পাঁচজন অভিযুক্তও কোন না কোনোভাবে এই ঘটনায় জড়িত। তাই তারা সমান দোষী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments