সন্তোষ কুমার মণ্ডল, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে সোমবার চার্জশিটে নাম থাকা ধৃত ছ’জনকে দুর্গাপুর মহকুমার অতিরিক্ত জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতদেরকে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত এই মামলা দুর্গাপুর মহকুমা আদালত থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। শনিবার শুনানির দিন থাকলেও সরকারি আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সেদিন শুনানি স্থগিত থাকে। ফলে সোমবাjই ছিল মামলার শুনানির প্রথম দিন। শুনানিতে সরকারি ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে বাদানুবাদ হয় চার্জশিট ও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে।
এদিন নির্যাতিতার সহপাঠী ধৃত ওয়াসিফ আলির আইনজীবী শেখর কুন্ডু সওয়াল করার সময় বলেন, “পুলিশ চাপের মুখে তড়িঘড়ি চার্জশিট দিয়েছে। তাই আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।” তিনি আরও দাবি জানান, তদন্তের স্বচ্ছতার স্বার্থে থানার সিসিটিভি ফুটেজ জমা করা হোক।
অন্যদিকে বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইন অনুযায়ী শেখ শফিক ও শেখ রিয়াজউদ্দিনকে রাজসাক্ষী করার প্রস্তাব এদিন আদালতে দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কি হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানা যাবে।”
প্রসঙ্গত দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রী গত অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ রাতে তার পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। তদন্তে নেমে নির্যাতিতার সহপাঠী সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৩০ অক্টোবর আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। আগামী ২ মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মামলার সরকারি আইনজীবী।







		









                                    