নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সলিল চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্য়োগে ভারতীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তী স্রষ্টা ও জীবন শিল্পী সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে ২০২৪-২৫ সাল জুড়ে। কমিটি “সলিল সমারোহ” শীর্ষক এক দীর্ঘ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। যেখানে সঙ্গীতের নানান দিক ছাড়াও সলিল চৌধুরীর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, নাটক, চলচ্চিত্র, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমস্ত ক্ষেত্রকে এই উদযাপনের অঙ্গ করে নেওয়া হয়এছে। আলোচনা চক্র, প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র নির্মাণ, সাংস্কৃতিক উৎসব ও নানা বিষয়ের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে জেলায় জেলায়।
গত শনিবার এক মশাল মিছিলের মাধ্যমে “সলিল সমারোহ” কর্মসূচির উদ্বোধন হয় দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীতে। মিছিলে ৭০ জন দৌড়বীর অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও কিশোর বাহিনীর কিশোর কিশোরীরা এবং বহু সাধারণ মানুষ এই মিছিলে পা মেলান। মিছিল শেষে দৌড়বীরদের হাতের মশাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সলিল চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কঙ্কন ভট্টাচাৰ্য এবং শুভ প্রাসাদ নন্দী মজুমদারের হাতে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। দুর্গাপুর ইস্পাতের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ প্রয়াস এবং স্ফুলিঙ্গ সাংস্কৃতিক সংস্থার সহযোগিতায় দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী তানসেন অথলেটিক ক্লাবের মুক্ত মঞ্চে “সলিল সমারোহ” কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রবিবার এখানে সারা দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় অঙ্কন, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, সমবেত সংগীত প্রতিযোগিতা। প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিযোগী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
রবিবারের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, ভারতীয় গননাট্য সংঘ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতক দল, অর্ণব চ্যাটার্জী ও অন্যান্য বিশিষ্ঠী শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে দর্শক উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।
এই কর্মসূচিকে সফল করতে শহরের সাধারণ মানুষ যেভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন তার জন্য সলিল চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির বং সফুলিঙ্গ সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি দীপক দেব সকলকে অভিনন্দন জানান।
পরবর্তী সময়ে ইস্পাত নগরীর বেশ কয়েকটি জনবহুল স্থানে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সেমিনার।





