নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- রবিবার ছিল এসএসসির একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। রাজ্যজুড়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও দুর্গাপুরের পরীক্ষাকেন্দ্রে বাউন্সারদের উপস্থিতি ঘিরে শুরু হল বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তার জন্য যেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, সেখানে বাউন্সারের কী প্রয়োজন? সরকারী পরীক্ষায় কেন বাউন্সারদের উপস্থিতি? বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্ট করেছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
শিল্প শহরেরএকাধিক স্কুল কলেজের মতোই দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজও ছিল এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। এদিন এই পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেন প্রায় ১৩০০ পরীক্ষার্থীরা। আর এই পরীক্ষাকেন্দ্রেই পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে দেখা যায় কালো পোশাক ও পরিচয়পত্র গলায় ঝোলানো কিছু মহিলা ও পুরুষ বাউন্সারকে। যা ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। প্রথমে পরীক্ষার্থীরা ভেবেছিলেন ওরা পুলিশ কিন্তু পরে ভুল ভাঙে। পরীক্ষার্থীদের চেকিং করতে দেখা যায় ওই বাউন্সারদের। সেই সময়ে প্রতিবাদ করেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা জানিয়ে দেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বাউন্সার মোতায়েন করেছেন। দুর্গাপুরের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তাকে এবিষয়ে জানান, ‘এটি কলেজের বিষয়। কলেজই বাউন্সার নিয়োগ করেছে। প্রশ্নপত্র কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবে, তা কলেজের নিজস্ব বিষয়।’ জানা গেছে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট ১০ জন বাউন্সার উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান তাঁদের বর্ধমান থেকে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের তাঁরা বাউন্সার বলেই পরিচিয়ও দেন।
অন্যদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তার জন্য যেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, সেখানে বাউন্সারের কী প্রয়োজন? সে ক্ষেত্রে কি পুলিশের উপরে ভরসা না করে নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ? বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলে পোস্টো লেখেন, “কালো পোশাক পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর কিভাবে প্রবেশ করলো ওরা। কার নির্দেশে প্রবেশ করলো। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে জানতে চাইছি? এদের দেখে পরীক্ষার্থীরা আতঙ্কিত।” পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”কেন কালো সাফারি পড়ে ওখানে গিয়েছে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর বিজেপি বিধায়ক কি আগে থেকে জানতেন ওখানে কারা চেকিং করছে। কোন কাজ নেই সেজন্য সবকিছুতেই রাজনীতি খুঁজছে।”
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন এই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে বরাবর জানিয়েছিল, সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। কিন্তু আলাদা করে বাউন্সার নিয়োগ কেন? তা কি আদৌ আইনি? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।





