নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে এসে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার বানভাসিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় থেকে রাজ্যের বেকার সমস্যা এমনকি অবৈধ কয়লা কারবার, একাধিক ইস্যুতে এদিন সরকারকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব নিয়ে তিনি সরাসরি পুরসভা, বিদ্যুৎ দপ্তর ও কলকাতা পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন, “এটা তো প্রমাণিত, রিপোর্ট তলব করে সময় নষ্ট করার কিছু নেই।” এরপর রাজ্যে সরকারি চাকরির পরিস্থিতি ও বেকার সমস্য নিয়ে সরব হয়ে তিনি বলেন, “বাংলার শিক্ষিত যুবক যুবতীরা ফুঁসছে। যে কোনদিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হবে। যেটা সামলানোর ক্ষমতা সরকার বা পুলিশের নেই। পশ্চিম বাংলার লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীরা ক্ষুব্ধ। তারা ৪০ বছর ধরে অপেক্ষা করে চাকরি পাইনি। ফলে এরাজ্যের বহু ছেলের বিবাহ হয়নি, এই মমতা ব্যানার্জীর জন্য। কারণ তিনি ৪০ বছর পার করে দিয়েছেন। চাকরি হয়নি আর কোনোদিন হবে না। তার উপর একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর উচ্চশিক্ষার প্রতি কারো আগ্রহ নেই। রাজ্যে স্নাতক স্তরে ৯ লক্ষ আসন আছে, সেখানে ভর্তি হয়েছে মাত্র ৩লক্ষ। ৬ লক্ষ আসান এখনও ফাঁকা আছে।” অন্যদিকে আসানসোল রানিগঞ্জ খনি এলাকায় কয়লার অবৈধ কারবার নিয়ে ফের শাসক দলকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের গুণ্ডারা কয়লার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। মাটির নিচে কয়লার স্তর শেষ হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনো দিন ভূমি ধসে গোটা খনি এলাকা ধসে যেতে পারে।”
প্রসঙ্গত এদিন দুর্গাপুরের ক্ষুদিরাম মাঠে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে সরব হন তিনি।





