নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- ভোজপুরি গানের তালে তরুণীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে বিতর্কে জড়ালেন দুর্গাপুরের এক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও এতে তিনি দোষের কিছু দেখছেন না বলেই দাবি করেছেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুরের এক নম্বর ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে ইস্পাত নগরীর একটি পার্কে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি মানষ অধিকারী এক তরুণীর হাত ধরে ভোজপুরি গানের তালে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নাচ করেন। তাও আবার দলীয় ব্যানারের সামনে। তাঁকে সঙ্গ দেন দলের কর্মী সমর্থরাও। তৃণমূল নেতার নাচের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর তারপরই ওঠে সমালোচার ঝড়। সমালোচনায় সরব হন বিরোধীরা।
যদিও মানষবাবুর দাবি এতে দোষের কিছু নেই, বিতর্কেরও কিছু নেই। তিনি বলেন, “সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্য দলের সকলে মিলে আনন্দ করতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত সকলেই আমারা পরিচিত,দলের ও ওয়ার্ডের লোকজন ছিল। ছোট বড় ছেলে মেয়ে সকলেই ছিল। সকলের অনুরোধে ও আবদার মেটাতে আমাকে নাচতে হয়। এর মধ্যে কোনো দোষ আছে বলে আমি মনে করি না। জীবনে আনন্দ দুঃখ সবকিছুই আছে। আমি সুখে দুখে সকলের পাশে আছি। আর ব্যানারটা শুধুই আইডেন্টিফিকেশনের জন্য লাগানো হয়েছিল। যাতে লোকজন ঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারে। কারণ পার্কে আরও অনেকে পিকনিক করছিলেন। সেখানেও নাচ, গান বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলছিল। আমরাও একটু আনন্দ করেছি, সকলকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
অন্যদিকে আসানসোল সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত তৃণমূল নেতার এই ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বার বার মেয়েদের নিরাপত্তার কথা বলছেন, পাশাপাশি দলের নেতা কর্মীদের শৃঙ্খলার বার্তা দিচ্ছেন সেখানে তাঁর দলেরই শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির এই ব্যবহার কতটা যুক্তসঙ্গত রুচিসম্পন্ন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আসলে এই দলের সমাজের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই দলের নেতারা যার যখন যা ইচ্ছা তাই করছেন।”