নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- সম্প্রতি শীতকালীন অধিবেশনে বিল পাশ করে ১০০ দিনের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্য়েই সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে অবমাননা করতেই এই উদ্যোগ। এবার প্রকল্পের নাম পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে অগণতান্ত্রিক বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসাদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর দাবি এই প্রক্রিয়া আসলে গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। সংসদে ভয়েস ভোটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করে প্রকল্পের নাম পরিবর্তণকে তিনি বিজেপি সরকারের ‘ড্রামা’ বলে অখ্যা দেন।
এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলে রাজ্যগুলির ওপর আর্থিক চাপ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে কেন্দ্রের ঋণের পরিমাণ আগের সব প্রধানমন্ত্রীর আমলের মোট ঋণকেও বহু গুণ ছাড়িয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আগে যেখানে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থায়নের অনুপাত ছিল ৯০:১০, সেখানে এখন তা বদলে ৬০:৪০ করা হয়েছে। এতে ঋণে জর্জরিত রাজ্যগুলির পক্ষে উন্নয়নমূলক কাজ চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।” বিহারের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “রাজ্যের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে, দারিদ্র্যতা ক্রমশ বাড়ছে। এই অর্থনৈতিক নীতিগুলি কি আদৌ সাধারণ মানুষের স্বার্থে, নাকি শিল্পপতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের সুবিধা দিতেই তৈরি?” দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার বিকেলে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন সাংসাদ। সেখানেই বিভিন্ন প্রসঙ্গে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। এদিনের বৈঠকে সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল সহ জেলার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকরা।

















