নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন কারখানায় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিনের। অভিযোগ শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে চলে এই দুর্নীতি। বহুবার এই অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কর্মী নিয়োগের স্বচ্ছতার প্রশ্নে কর্মী ইউনিয়ন ভেঙে দুর্গাপুরের জন্য কোর কমিটি তৈরি করে দল। কোর কমিটি গঠনের পর তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে এসে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এমন শ্রমিক নেতারদের প্রকাশ্যে হুঁশিযারিও দিয়ে যান। এমনকি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সমীর সিং নামে একজনের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ তারপরও নিয়োগ দুর্নীতি রোখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে রাষ্ট্রায়ত্ত মিশ্র ইস্পাত কারখানার (এএসপি) গেটে দুই শ্রমিকদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। তারা অভিযোগ করছেন ওই দুই কর্মী ভিন জেলা থেকে এসেছেন। স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের টাকা দিয়ে কারখানায় নিয়োগ করা হচ্ছে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাছাই করেনি এই বাংলায় ওয়েব পোর্টাল।
অন্যদিকে ওই ভিডিও ঘিরে শিল্প শহরে একদিকে যেমন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অন্যদিকে তেমনি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন, “ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীরা কোর কমিটি নিয়ে খুব বড় বড় কথা বলেছিলেন। তবে এখন কেন নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসছে। কেন দু পক্ষের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হচ্ছে। আসলে সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য খরচা করতে হবে, অর্থাৎ পয়সা লাগবে তাই পয়সা নিয়ে বাইরের লোক ঢোকানো হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক।”
অন্যদিকে বহিরাগতদের রুখে দেওয়ার তৃণমূল কর্মীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটির নেতা মানস অধিকারী। তিনি বলেন, “দুর্গাপুর অঞ্চলে প্রচুর ছেলে রয়েছে যারা কাজ পাননি। এই অবস্থায় স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করা হলে তার প্রতিবাদ সাধারণ মানুষ করবে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। “
তবে কাদের মদতে এই দুর্নীতি চলছে , এর নেপথ্যে রয়েছে কে বা কারা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


















