নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- চালু হয়নি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। এদিকে নগর নিগমের বর্জ্য, দিনের পর দিন জমা হতে হতে পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে টেকা দায়। বাড়ছে কাক, কুকুর সহ জীবজন্তুর উপদ্রব। অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। এমনই চিত্র উঠে এসেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া,মলানদিঘী গ্রামে।
প্রসঙ্গত শংকরপুর গ্রামের শেষে রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্র। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য সেখানেই জমা করা হয়। দিনের পর দিন বর্জ্য জমা হতে হতে যা পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। দমকা হাওয়া দিলে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে দুর্গন্ধ। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বাড়ে মশা মাছি সহ জীবজন্তুর উপদ্রপ। এর পাশাপাশি দূষণের জেরে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো রোগ। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা জেমুয়া,মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের।
এদিকে ওই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের কিছুটা দূরেই রয়েছে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও অঞ্চলিক ফরেন্সিক বিভাগ। ফলে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার স্কুলের কচিকাঁচা থেকে সরকারি বিভাগের কর্মচারীরাও। এই পরিস্থিতিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজোপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরড়ুই বলেন,”সরকার টাই দুর্গন্ধ ভরে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন হয়নি। সাধারণ মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীরা কি করছে? এই সরকার স্বৈরাচারী, এই সরকার কাটমানি খায়, এই সরকার উদাসীন। সেই জন্যই এই অবস্থা।”
বিষয়টি নিয়ে পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান খুব তাড়াতাড়ি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না। তবে তা চালু হতে প্রায় দেড় থেকে দু’বছর সময় লাগবে বলে জানা গেছে।





