নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আজ ৮ মে, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সমতার অধিকারের লক্ষ্য শুরু হওয়া লড়াই থেকে নারীদের সম্মানের স্বীকৃতিতে ঘোষিত একটি । এই লম্বা পথটা সহজ ছিল না। সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য তাঁর কর্মক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে। তাই কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং ন্যায়সংগত দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন নারী শ্রমিকেরা। আর এই শ্রম আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ পথপরিক্রম করেই চালু হয় ‘আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী মহিলা দিবস’ যা এখন ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’।
এই দিনটি এখন নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ধরনের অর্জন উদ্যাপনের একটি বৈশ্বিক দিন। একই সঙ্গে দিবসটি লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিও তুলে ধরে এবং নারীর উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ডাক দেয়। উনবিংশ শতকের তমসাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে আজকের উন্নত প্রযুক্তির যুগেও লিঙ্গ বৈষম্য, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি হিংসা সমাজ থেকে মুছে যায়নি। তাই এই হিংসা ভুলে, বৈষম্য দূর করতে ও নারীদের সুরক্ষা ও সম্মান জানানোর লক্ষ্যে নারী দিবসের দিনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শ্রমজীবী মহিলা শাখা, হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়েজ ইউনিয়ন ও গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
সন্ধ্যা ৬টায় ইস্পাত নগরীর ১ নম্বর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউতে সম্মিলিত হয়ে কথায় গানে আবৃত্তি আলোচনা শপথের মধ্যে দিয়ে নারীদের এই সংগ্রামকে আরো সুদৃঢ় করার ও এগিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমজীবী মহিলা সংগঠনটি। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আশুতোষ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা শ্রীমতি সঞ্চিতা সান্যাল।
পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ নারী, তাই এ লড়াইয়ে প্রধান সেনানী নারীরা নিজেই, কিন্তু অর্ধেক আকাশ অন্ধকারে থাকলে আকাশ আলোকিত হয় না, তাই এ লড়াই পুরুষেরও।





