জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জীঃ- লক্ষ্য এক ছাতার তলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার, সুইমিংপুল ইত্যাদি গড়ে তোলা। তাদের লক্ষ্য এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এখন আবার বড় বড় শহরের সীমা ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে ছোট ছোট শহরে ‘ফ্লাট কালচার’ চালু হলেও আর্থিক কারণে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয়না। এবার সবার সব স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে এল পূর্ব বর্ধমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়িক সংস্থা আর.এম.পেইনটার। তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তারা বলগোণা মোড় সংলগ্ন জায়গা বেছে নিয়েছে। প্রসঙ্গত সংস্থাটি ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় সফলতার সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে।
সংস্থার উদ্যোগে গুসকরা শহরের বুকে গড়ে উঠতে চলেছে নার্সারি থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের আধুনিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমস্ত রকম সুবিধাযুক্ত উন্নত মানের হাসপাতাল, বাজার ইত্যাদি। ইতিমধ্যে তারা তাদের প্রাথমিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একটি বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
উপস্থিত শহরের একগুচ্ছ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার কর্মীদের করতালির মধ্যে দিয়ে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি গুসকরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজে ফিতে কেটে সংস্থার অফিস উদ্বোধন করেন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী। সহযোগিতা করেন ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম। সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তখন সংস্থার পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইজল মন্ডল, রহমত মল্লিক, তোতন সোম, উজ্জ্বল সেখ, জাহাঙ্গীর সেখ, কমল, লালন এবং সংস্থার কর্ণধার সেখ সোহরাব সহ আরও অনেকেই।
উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সামনে সংস্থার কর্ণধার সেখ সোহরাব নিজেদের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। তার আশা এরফলে এলাকায় তিন শতাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হতে পারে। সংস্থার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে কুশল বাবু দ্রুত তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করার জন্য সংস্থার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে তাদের সমস্ত রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়।