নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ মাদ্রাসা ও সব রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পৌরসভা গুলির পক্ষ থেকে চলছে সচেতনতা শিবির ও চিকিৎসালয় ও সরকারি হাসপাতালে মজুদ রয়েছেন আপৎকালীন সমস্ত বন্দোবস্ত এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য। তবে এত কিছুর মধ্যেও করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না সাধারণ শিল্পাঞ্চল বাসিরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রবিবার শহরের বিভিন্ন বাজার শপিং মল রেস্তোরা হোটেলে ভিড় নেই বললেই চলে। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে অবস্থিত সুসজ্জিত জংশন মলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ক্রেতাদের ভিড় নেই কোন রেস্তোরাতে মানুষজনের আনাগোনা। দুর্গাপুরের যে ক’টি নাম করা বাজার আছে চন্ডীদাস, বেনাচিত্ মামড়া, স্টেশন বাজার সেখানে মানুষের ভিড় অনেকটাই কম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাধ্য হয়ে যাদের বাজারে যেতে হয়েছে তারাই শুধু বাজারমুখী হচ্ছেন তাছাড়া সবাই নিজেদের কে গৃহবন্দি করে রেখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হোটেল-রেস্তোরাঁ তে মানুষজনের দেখা পাওয়া দুষ্কর ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। দুর্গাপুরে বেশ কয়েকটি হোটেল ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই করোনা ভাইরাসের দাপটে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জংশন মল এ স্থিত এক রেস্তোরাঁর মালকিন জানালেন সকাল থেকে রাত অবধি একটাও গ্রাহক ঢোকেনি তাদের রেস্তোরাঁয়। কি করে চলবে ভেবে পাচ্ছেন না তারা। আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হবে তাদের কারণ তাদের সমস্ত রকম সাজসরঞ্জাম থেকে কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন সরকারি শুল্ক দিতে তাদের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে মাংসের দাম হুরহুর করে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন বাজার গুলিতে। মানুষজন আর আমিষ খাওয়ার দিকে ঝোঁক নেই। আজ ছুটির দিন রবিবার বাজারগুলিতে মানুষজনের আনাগোনা বেশ কম। দূর-দূরান্ত থেকে যে সব ব্যবসায়ীরা বাজারে আসেন নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি নিয়ে তারাও পড়েছেন বিপাকে। ক্রেতা না থাকলে তাদের মাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন তারা। এই আশঙ্কায় তারা এখন দিন গুনছেন কবে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে শিল্পাঞ্চল। কবে যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটবে সেই দিনের কথা ভেবে দিন গুজরান করছেন সাধারণ ইস্পাত নগরী্র বাসিন্দারা। শিল্পাঞ্চল এর সব স্কুল-কলেজ গুলি বন্ধ থাকার সুবাদে মানুষজন বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অনেক আগে থেকেই কিন্তু করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কে এখন তারা সেই সমস্ত বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রেখেছেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যে ছোট ছোট খেলার মাঠ গুলি ছিল যেখানে সকাল-বিকাল কচি কাচাদের নিয়ে যেতেন মা-বাবারা সেই সব জায়গায় এখন শুনশান। শিল্পাঞ্চল বাসি এখন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গৃহবন্দী।