নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুর ; দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার অঙ্গদপুর বাউরীপাড়ার ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে আগামী কৌশিকী অমাবস্যাতে পুজা করতে নিয়ে যাবে মোটা টাকা ও সোনার বিনিময়ে বলে ওই যুবতীর বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি এলে তাদেরকে ওই যুবতীর পরিবার এবং স্থানীয়রা একটি ক্লাবে বেঁধে রেখে পুলিশে ডেকে তাদের হাতে তুলে দেয়। ওই যুবতীর অভিযোগ এরকম দশজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তি দফায় দফায় গত একমাস যাবত তাকে রাস্তায় এরকম প্রস্তাব দিচ্ছিল। আর তারা বাড়িতেই চলে আসে তাকে নিয়ে যেতে।অঙ্গদপুর বাউরী পাড়ার বাদিন্দা এক যুবতী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করেন। গত এক মাস আগে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাকে রাস্তায় বলে যে “”তোমাকে আমরা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করব।এরজন্য তোমাকে ৭-৮ ভরি সোনার গহনা ও ৯-১০ লক্ষ টাকা দেব।”” ওই যুবতী তাদের সাথে কোনও কথা বলেনা। কিন্তু নাছোড়বান্দা এরকম অনেক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাকে দফায় দফায় বিরক্ত করে রাস্তায়। ওই যুবতী তার পরিবারের সবাইকে বিষয়টি জানাতে থাকে। কিন্তু এতদিন তারা বিষয়টিকে গুরুত্ম দেননি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজন ওই যুবতীর বাড়িতে এসে হাজির হয়।তারা বলে পুজোর জন্য তাদের ওই যুবতীকেই প্রয়োজন তাই তারা নিতে এসেছে। তার বিনিময়ে ওই যুবতীর পরিবারকে সোনা ও মোটা টাকা দেওয়ার কথা বলে বলেও ওই যুবতীর পরিবার তাতে রাজী না হয়ে তিনজনকে ধরে প্রতিবেশীদের ডেকে স্থানীয় একটি ক্লাবে বেঁধে রেখে কোকওভেন থানার পুলিশ ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এই যুবতীকে কিসের জন্য নিয়ে যেতে চেয়েছিল এরা?পরিবারের দাবী “”এরা আমাদের মেয়েকে বলি দিত””। কৌশিকী অমাবস্যাতে এই ঘটনা ঘটাত। আবার ওই যুবতীর সন্দেহ তাকে হয়ত পাচার করাও হত। সব মিলিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। আপাতত এই তিনজন পুলিশের জালে। যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে পুলিশ জানায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অঙ্গদপুর বাউরীপাড়া এলাকায়। তবে এই যারা যুবতীকে বারবার পুজো করার জন্য নিতে আসত তাদের মধ্যে স্থানীয় বীরভানপুরের কয়েকজন আছে বলেও জানা গেছে।।