সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- প্রায় ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অভিযোগ গরীব মানুষদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া অথবা নিজের পায়ে দাঁড় করানোর নামে সাপোর্ট ইন্ডিয়া নামে ভুয়ো সংস্থা খুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ এবং গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার ওসি অমিত হালদার ও কন্যাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ পার্থ প্রতিম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী রবিবার রাতে প্রথমে কলকাতার এক ডেরা থেকে গ্রেফতার করে মহঃ নাদিম নামে ভুয়ো চক্রের এক মাথাকে। তাকে জেরা করে আরো একটি জায়গা থেকে বিজয় পন্ডিত সহ আরো তিন চক্রের পান্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত নাদিম সহ চারজনই সাপোর্ট ইন্ডিয়া নামে ভুয়ো সংস্থার কর্নধার। গরীব মানুষদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া অথবা নিজের পায়ে দাঁড় করানোর নামে ২০০ কোটি টাকা আদায় করেছে এই প্রতারণা চক্রের মাথারা। এরাজ্যের আসানসোল ও পাশাপাশি ঝাড়খন্ড, অসম, উড়িষ্যা, উত্তরাখন্ড সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছরিয়ে রয়েছে এই চক্রের জাল। আসানসোল সহ একাধিক রাজ্যে বড় বড় হোটেলে মিটিং করতো এই সংস্থার কর্ণধার ও তার সঙ্গীরা। প্রথমে বিনামূল্যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের স্কুটিও দেওয়া হয়। টাকা তোলা ও প্রতারণার গোটা প্রক্রিয়াটি চলতো চেন সিস্টেমের মাধ্যমে।
পরে চাকরি ও টাকা কোন কিছুই না পেয়ে তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন ওই ভুয়ো সংস্থার গ্রাহকরা। সংস্থার আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনও করেন প্রতারিত গ্রাহকরা এবং আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ থানায় এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন। শেষে চাপে পড়ে বেশ কিছু মানুষকে চেক দেয় সংস্থা। যদিও সেই সব চেকই বাউন্স করে। এরকম প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ টি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই প্রতারণা চক্রের শিকড় খোজার চেষ্টার চালাচ্ছে পুলিশ।
















